ঢাকায় অনেকেই এখন কুকুর পোষেন। কিন্তু এই কুকুরগুলোর সঙ্গে আপনার খুব একটা দেখা হবে না। কারণ ওরা বেশির ভাগ সময় ঘরের ভেতর বন্দী থাকে।’ নাদিয়া শিকদার যখন এই কথা বলছেন, তখন আমরা বসে আছি হাতিরঝিলে। রাস্তার পাশে, একটা বেঞ্চে বসে তাঁর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। জন্মসূত্রে বাংলাদেশি হলেও ছোটবেলা থেকে এই তরুণীর একটা বড় সময় কেটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ভাষাটা এখনো খুব ভালো রপ্ত করতে পারেননি। নাদিয়ার সঙ্গে কথোপকথন তাই ইংরেজিতেই হলো।
‘হাতিরঝিল ডগ ওয়াকার্স ক্লাব’ নামে ফেসবুকে একটা গ্রুপ খুলেছেন নাদিয়া। তাঁর বক্তব্য; যাঁরা কুকুর পোষেন, তাঁদের নিয়মিতই কুকুরটিকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটতে বের হওয়া উচিত। এতে করে কুকুরের শরীর-মন দুটোই ভালো থাকে। ঘরের ভেতর আটকে থাকলে কুকুরগুলোর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হয়, যেটা ঠিক নয়। এই হন্টন যে কুকুর পালকের জন্যও উপকারী, সে কথাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি, ‘হাঁটার চেয়ে ভালো ব্যায়াম আর হয় না। আপনি যদি নিয়মিত আপনার পোষা কুকুরটাকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটতে বের হন, তাহলে নিশ্চয়ই আপনার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। হাঁটার সময় একটা ভালো সঙ্গ পাবেন। একটা ভালো অভ্যাস গড়ে উঠবে।’
নাদিয়ার বাড়িতে দুটি কুকুর আছে। স্কুবি ও সিমবা। প্রতিদিন বিকেলে নিয়ম করে ওদের নিয়ে হাঁটতে বের হন তিনি। হাতিরঝিলে একা একা হাঁটতে গিয়ে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। মানুষের নানা কটু কথা কানে আসে। তাই বলে তিনি দমে যাওয়ার পাত্রী নন। হাতের লাঠিটা দেখিয়ে বলছিলেন, ‘এটা যতটা না কুকুরের জন্য, তার চেয়ে বেশি মানুষের জন্য। কেউ যেন বিরক্ত করতে না পারে।’
প্রাণীপ্রেমী নাদিয়া বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত আছেন। হাতিরঝিলের আশপাশে যাঁরা থাকেন, যাঁদের বাসায় পোষা কুকুর আছে, চাইলে যোগ দিতে পারেন নাদিয়ার সঙ্গে। ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।