আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক হামলায় ৪০ জনের বেশি নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হওয়ার পর ‘লাইন অব কন্ট্রোল’ অতিক্রম করে পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে হামলা করেছে ভারত।
ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে এই হামলায় পাকিস্তানের ভেতরে বহু মানুষ নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের দাবি, তারা এসব হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে। জঙ্গি হামলার ওই ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে চলছে উত্তেজনা।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান পাক জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে এক হাজার কেজি বোমাবর্ষণ করে ভারতীয় বিমান বাহিনী। ভারতীয় গণমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে এমন সংবাদ পাওয়া গেছে।
সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের ৩০০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হামলায়। হিজবুল জঙ্গি ঘাঁটির কন্ট্রোল রুম নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে ভারতের মিরাজ ২০০০ এর ১২ টি বিমান। আর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২.০ এ ধাক্কা খেয়েই পাকিস্তান ‘আত্মরক্ষা’র প্রসঙ্গে তুলে জরুরি বৈঠকে বসেছে। চিনের সংবাদসংস্থার খবর আলোচনা চলছে চিনের সঙ্গেও।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরই এদিন গুজরাতের আকাশে পাকিস্তানি ড্রোন দেখা যায়। যা গোলাবর্ষণ করে নামিয়ে দেয় ভারত। পাকিস্তানের মাটিতে ‘সার্জিক্য়াল স্ট্রাইক ২.০’ এর পর ,ইসলামাবাদের দাবি কোনও রকমের ক্ষয়ক্ষতি ঘটেনি পাকিস্তানের মাটিতে। তবে জরুরি পর্যায়ের বৈঠকে বসে পাকিস্তানি প্রশাসন। তাঁদের দাবি আত্মরক্ষার তাগিদে তাঁরাও সচেষ্টা ।
এদিকে, চিনের সংবাদ সংস্থা জিংহুয়ার দাবি ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতের পরই বেজিং এর সঙ্গে ইসলামাবাদের আলোচনা শুরু হয়। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে এই আলোচনা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে আলোচনায় কী উঠে এসেছে তা সঠিক জানা যায়নি।
এদিকে, পাকিস্তানের দাবি ভারতের ১০০০ কেজির বোমা হামলার জবাব তারা দিয়েছে। যদিও সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের দাবি বায়পসেনার ওয়েস্টার্ন কমান্ডের তরফে চালানো এই হামলায় পাকিস্তানি সেনা পাল্টা হামলা চালালেও ভারতীয় যুদ্ধবিমানের কোনও ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি তারা।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।