তেইশ বছর পর বড় ভাইয়ের সন্ধান – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৩:৩৭, ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

তেইশ বছর পর বড় ভাইয়ের সন্ধান

প্রকাশিত মে ২০, ২০১৯
তেইশ বছর পর বড় ভাইয়ের সন্ধান

Manual6 Ad Code

ডেস্ক রিপোর্ট :: হারিয়ে যাওয়া বড় ভাইকে ফিরে পেলেন ইকবাল পিয়েদা। কিন্তু এরইমধ্যে কেটে গেছে ২৩টি বছর। ৯৬ এর কোনো একদিন হঠাৎ নিখোঁজ হন সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা আজবার পিয়েদা। তখন ইকবাল ছিলেন অনেক ছোট। অনেক চেষ্টা করেও ছেলে আজবারের খোঁজ পাননি বাবা আবদুল করিম পিয়েদা।

সন্তান হারানোর বেদনা মানতেই পারছিলেন না মা মোমেনা খাতুন। কাঁদতে কাঁদতে যেন চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। সারাদেশে আজবারের খোঁজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়েন আজবারের পরিবার। অতঃপর ২৩ বছর ভারতের আসামের এক কারাগারে খোঁজ মিলল আজবারের। ছোট ভাই ইকবাল পিয়াদা বড় ভাইকে সামনে পেয়ে চোখের পানিতে ধরে রাখতে পারেননি।

Manual3 Ad Code

রোববার আসামের তেজপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিটেনশন ক্যাম্পে অবস্থানরত আজবারের সঙ্গে দেখা করেন ভাই ইকবাল।

Manual3 Ad Code

২০১৫ সালের ১ জুলাই রাজ্যের ধেমজি জেলা থেকে ভারতের অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আজবারকে আটক করা হয়। ১৬ নভেম্বর ভারতীয় পাসপোর্ট আইনের আওতায় কারাগারে পাঠানো হয় আজবারকে।

২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছর কারাভোগ করেন আজবার। এর পর তাকে তেজপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিটেনশন ক্যাম্পে প্রেরণ করা হয়।

বড় ভাইকে খোঁজ করার বিষয়টি নিয়মতই করতেন ইকবাল পিয়েদা। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তিনি জানতে পারেন, তার ভাই ভারতের আসামের এক কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। তিনি ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে ও তাকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেন।

এ সময় বাংলাদেশের এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আসামের সমাজসেবী কর্মী অমলেন্দু দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধান করতে অনুরোধ করেন।

অমলেন্দু দাস গুয়াহাটির বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ও আজবারকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হন।

অবশেষে তেজপুরের সেই ডিটেনশন ক্যাম্পে গিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন ইকবাল। দীর্ঘ দুই দশক পর হারিয়ে যাওয়া ভাইকে কাছে পেয়ে আত্মহারা হয়ে ওঠেন ইকবাল।

Manual8 Ad Code

ভাইকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে তোলার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইকবাল।

তিনি বলেন, মা বলেছিলেন ভাই মানসিকভাবে অনেকটা অসুস্থ ছিল এবং ২৩ বছর আগে তিনি যখন নিখোঁজ হন আমি বেশ ছোট ছিলাম। এ বিষয়ে তেমন একটা স্মৃতি নেই আমার। এত বছর পর তাকে পেয়ে আমি এতই আনন্দিত যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।

আজবার এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। সে বাংলাদেশে তার পরিবার ও দেশের ঠিকানা লিখতে পারে। আগামী মাসেই আজবারকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

Manual7 Ad Code

এদিকে সবচেয়ে বেশি খুশি আজবার। বর্তমানে তার বয়স ৫৫। তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, আমি যত দ্রুত সম্ভব আমার দেশে ফিরে যেতে চাই। আমি আমার মা ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে দেখা করতে মুখিয়ে আছি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code