বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য মোটেই নিরাপদ নয়। স্মার্টফোনের ব্যবহৃত অ্যাপগুলোর ঘন ঘন হ্যাক হওয়ার খবর এই উদ্বেগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। হ্যাকাররা ফেসবুক সহ জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি অ্যাপকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার জন্য।
এছাড়াও সার্চ বা ব্রাউজ করার সময় আমাদের সামনে আসা বিজ্ঞাপনগুলোও এ হ্যাকিং এর পিছনে অনেকাংশে দায়ী। এছাড়া বড় কোম্পানিগুলো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের পছন্দের সঙ্গে মিল রেখে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার জন্য।
তবে আপনি যদি নিজের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন তবে এবং অ্যাপগুলোকে আপনার তথ্য হাতিয়ে নিতে দিতে না চান তাহলে কৌশলটি অনুসরণ করতে পারেন।
অ্যাপগুলোকে আপনার সমস্ত তথ্যে অনুপ্রবেশের অনুমতি দিবেন না
বেশিরভাগ অ্যাপ ব্যবহারের পূর্বে ব্যবহারকারীদের ফোনের কন্টাক্ট, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন এসমস্ত পরিষেবাগুলোতে অ্যাকসেসের অনুমতি চায়। বিশেষ করে মেসেজিং অ্যাপগুলো ব্যবহার করে কল করার সময় এধরনের অ্যাকসেস চাওয়া হয়। এক্ষেত্রে অনুমতি দিলেই ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাই যদি কোনো অ্যাপ এমন কোনো অনুমতি চায়, যা আপনার কাছে অদ্ভুত মনে হয় তাহলে তা নির্দ্বিধায় অস্বীকার করুন। অনুমতি ব্যতীত ব্যবহারে সমস্যা হলে বিকল্প অ্যাপ সার্চ করুন।
আপনি চাইলে প্রতিটি অ্যাপে আলাদাভাবে এই অনুমতির বিষয়টিগুলো পর্যালোচনা করতে পারেন। আর তা করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
* ফোনের ‘সেটিংস’ এ যান।
* ‘অ্যাপস’ বা ‘অ্যাপ্লিকেশন ম্যানেজার’ অপশনে যান।
* তালিকা থেকে নির্দিষ্ট অ্যাপে আলতো চাপুন।
* ‘পারমিশন’ বিভাগে যান
* মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, কলিং- এ ধরনের পরিষেবাগুলোর প্রতিটির পারমিশনের জন্য টগল বন্ধ এবং চালু করুন।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।