৩০ বছর ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮১ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের ৫৪টি পিস কিপিং মিশনে অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে ৯টি মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন ৬ হাজার ৫৪৭ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় এ পর্যন্ত ১৪৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২২৭ জন।
যুক্তরাষ্ট্র আর্মি ওয়ার কলেজের একটি প্রতিনিধিদল জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন পরিদর্শনকালে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন মিশনের চার্জ দ্য আফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।
শনিবার জাতিসংঘ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রফেসর জন টিসনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আর্মি ওয়ার কলেজের ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন পরিদর্শন করেন।
পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অংশ হিসেবে প্রতিবছরই ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শনে আসেন। ২১ সদস্যের এই ডেলিগেশনে ওই কলেজে অধ্যয়নরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান মিশনের চার্জ দ্য আফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো.আরিফুল ইসলাম এবং মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ।
এ সময় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, সাহসী ও সুদৃঢ় উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং সমগ্র-সমাজ দৃষ্টিভঙ্গির কথা স্বাগত বক্তব্যে তুলে ধরেন চার্জ দ্য আফেয়ার্স।
রোহিঙ্গা সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তন ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জের মতো বেশ কিছু বৈশ্বিক সমস্যা যা বাংলাদেশকে যে সঙ্কটে ফেলছে তা আলোকপাত করেন চার্জ দ্য আফেয়ার্স। এসব সমস্যা সমাধানে শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব সৃষ্টির প্রয়োজন মর্মে উল্লেখ করেন উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।