সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পন্ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলার ৮ ইউনিয়নের নেতারা বলেছেন, তৃণমূলের মতামত ছাড়া কমিটি ঘোষণা হলে গণপদত্যাগে বাধ্য হবো। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার আখালিয়ায় এ উপলক্ষে এক বৈঠকে মিলিত হন তারা।
বৈঠকে প্রায় প্রত্যেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অংশ নেন। এসময় তারা তৃণমূলের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোটগ্রহণের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য একটি কমিটি গঠনের দাবি জানান।
তৃণমূল নেতারা বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পর সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, নেতারা যেভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। কিন্তু, রবিবার সম্মেলনে তৃণমূলের মতামত ছাড়া কমিটি চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এতে আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়েছি।
তারা বলেন, দলের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব নির্বাচনে তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া ও অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে নেতৃত্ব থেকে দূরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু, সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এ অবস্থায় কমিটি ঘোষণা হলে আমরা ৮ ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা গণপদত্যাগে বাধ্য হবো।
সভায় ১নং জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াছ মিয়া শানুর, সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক মিয়া, ২নং হাটখোলা ইউনিয়নের সভাপতি আলহাজ মুশাহিদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়নের সভাপতি মো. তারা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক, ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনছার মিয়া মহালদার, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. নজরুল ইসলাম বিলাল, ৫নং টুলটিকর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক নিরেশ দাস, ৬নং টুকের বাজার ইউনিয়নের সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত, ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল হামিদ (চুনু), সাধারণ সম্পাদক মো. আশিক মিয়া, ৮নং কান্দিগাঁও ইউনিয়নের সভাপতি মো. মো. আজম আলী উপস্থিত ছিলেন।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।