জাহাজ হাসপাতাল ছাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র

Daily Ajker Sylhet

২০ মার্চ ২০২০, ০১:১৪ অপরাহ্ণ


জাহাজ হাসপাতাল ছাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সামরিক জাহাজ হাসপাতাল মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার তিনি এ ঘোষণা দিয়ে নিজেকে ‘যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্ট’ আখ্যা দেন বলে জানিয়েছে এএফপি।

নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ডিউ কুয়োমো বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নৌবাহিনীর এক হাজার কক্ষবিশিষ্ট ইউএসএনএস কমফোর্ট জাহাজটি শহরের উপকূলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রের মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার পরই এমন ঘোষণা এলো। দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ৪৬৪ জন।

 

নিউইয়র্কের গভর্নর কুয়োমো বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে ৮৯৪ ফুট (২৭০ মিটার) লম্বা কমফোর্ট জাহাজটি নিউইয়র্কে দ্রুতই পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সামরিক জাহাজটি কখন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক রাজধানীর উপকূলে পৌঁছাবে সেটি স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ। অপারেটিং রুমসহ জাহাজে এক হাজার কক্ষ রয়েছে। এটি একটি ভাসমান হাসপাতাল, যেটি করোনা মোকাবেলার সক্ষমতা বাড়াবে। বুধবার নিজেকে ‘যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্ট’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। যুক্তরাষ্ট্র অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

এদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আসা লোকজনের জন্য হাসপাতাল চালু করেছে চীন। সেখানে বিদেশ ফেরত নাগরিকদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।

চীনের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার ভ্রমণকারীদের প্রথম দলটিকে বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শিয়াওতাংশান হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের সময় ওই মেডিকেল সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

এবার সেটাই করোনাভাইরাসের জন্য পুনর্নিমাণ করা হল। এতে সময় লেগেছে ৫৩ দিন এবং ১৫ হাজারের বেশি কর্মী একসঙ্গে কাজ করেছে।

নতুন হাসপাতালে ১৬০০ বেড রয়েছে এবং সেখানে ছয় শতাধিক মেডিকেল কর্মী থাকবেন। সেখানে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের করোনার টেস্ট করা হবে এবং কারও মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তাদের চিকিৎসা শুরু হবে।

বুধবার করোনার উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশে কোনো নাগরিক নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়নি। মূল ভূখণ্ডে নতুন করে বিদেশি নাগরিকরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরেই প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে।

এরপরেই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এ ভাইরাস। চীনের বাইরে ১৭৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা।

বেইজিংয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, চীনে নতুন করে ৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত সবাই অন্যান্য দেশ থেকেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে করোনার বিস্তার ঠেকাতে চীন যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তাদের সেই চেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে।

গতকাল চীনে নতুন করে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৪৫। চীনে এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার ৯২৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

অপরদিকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে ৭০ হাজার ৪২০ জন। গত সোমবার কর্মকর্তারা ঘোষণা করেছেন, চীনে প্রবেশ করা সবাইকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

করোনা ঠেকাতে গো-মূত্র খেয়ে হাসপাতালে

করোনা আতঙ্কে ‘গো-মূত্র’ খেয়েছিলেন। গলা ও বুকে ব্যথা নিয়ে আপাতত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামের শিবু গরাইয়ের ঠাঁই হয়েছে জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মেডিসিন ওয়ার্ডে জায়গা মেলেনি। তাই মেঝেই ভরসা।

এখন শিবু অবশ্য বলছেন, খুব ভুল করেছি। করোনা ঠেকাতে আমার মতো আর কেউ যেন গো-মূত্র পান না করেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ঝাড়গ্রাম শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জামদা এলাকায় থাকেন শিবু। বাড়িতেই কাপড়ের দোকান রয়েছে তার। স্ত্রী, দুই ছেলে নিয়ে সংসার। কয়েকদিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে মায়াপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি।

ফেরার সময়ে সেখান থেকে ১৮০ টাকা দিয়ে কিনে আনেন গো-মূত্রের শিশি। তাতে লেখা ‘গো-আরক’।

৪২ বছর বয়সী শিবুর ভাষায় বিক্রেতা তাকে বলেছিলেন, এক থেকে দুই চামচ ‘গো-আরক’ নিয়মিত খেলে শরীরের রক্ত দোষ কাটে। করোনাসহ নানা রকম শারীরিক ব্যাধি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।