একদিকে ধীরে ধীরে অবনতি ঘটছে বাংলাদেশের করোনা (কোভিড -১৯) পরিস্থিতির। আর অন্যদিকে দেশের ক্রিকেটাররা অপেক্ষা করে আছে শ্রীলংকা সফর ও ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (ডিপিএল) খেলার জন্য।
শ্রীলংকায় করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। সেখানে ক্রিকেট আয়োজন হলে করোনার প্রভাব খুব বেশি না পড়ারই সম্ভাবনা। তারপরও পূর্ব নির্ধারিত সফরসূচি মোতাবেক দ্বীপদেশটিতে সফর নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এ পর্যন্ত শ্রীলংকায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৮৪ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে মাত্র ১১ জন। আর সুস্থ হয়েছে ১২৫২ জন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের অংশ হিসেবে জুলাইয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণের জন্য গত সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের।
অপরদিকে দেশীয় ক্রিকেটের একমাত্র আয়ের উৎস হচ্ছে ডিপিএল। টুর্নামেন্টটি শুরু হবার পরপরই করোনা মহামারির কবলে পড়ে থেমে গেছে।
এদিকে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গাইডলাইন কঠোর ভাবে মেনে হলেও জুন জুলাইয়ে ফের এই লীগের শুরু দেখতে চায় খেলোয়াড়রা। ক্রিকেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) আয়োজনে এক অনলাইন আলোচনায় খেলোয়াড়রা তাদের এই ইচ্ছার কথা স্পষ্টই জানিয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দূর্জয়ের সভাপতিত্বে ওই আলোচনায় অংশ নেন ক্রিকেটাররা। এদের মধ্যে যেমন ছিলেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন, তেমনি ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মোমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আব্দুর রাজ্জাক, ইমরুল কায়েস, তুষার ইমরান, নুরুল হাসান সোহান, এনামুল হক জুনিয়র ও জহুরুল ইসলাম অমি সহ জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেট তারকারা।
কোয়াবের ওই আলোচনায় ক্রিকেটারদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দাবী ছিল শ্রীলংকা সফর ও ডিপিএল শুরুর বিষয়টি। আলোচনা সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোয়াব জানায়,‘ বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা নিয়ে বিসিবি যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে শ্রীলংকা সফরের সিদ্ধান্ত নিবে। দেশে কোভিড-১৯ এর মাহামারি শেষে ডিপিএল শুরু করা হলে আমরা প্রয়োজনীয় নজরদারি করব। পরিস্থিতির উন্নতি হলে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তবে এই মুহূর্তে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ।’
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।