ধর্ষণের সাজা: আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে
১৪ অক্টো ২০২০, ০১:১৬ অপরাহ্ণ

সম্পাদকীয়: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সংশোধিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০’ অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি এ অধ্যাদেশ জারি করেন। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। উল্লেখ্য, ধর্ষণ, নিপীড়ন ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারা দেশে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার তা বিবেচনায় নিয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলার বিচার হবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। বিচার শেষ করতে হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে প্রায়ই লক্ষ করা যায়- মামলা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা, সঠিক তদন্ত না হওয়া, ধর্ষণের মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া ইত্যাদি কারণে চূড়ান্ত রায়ে মামলা খারিজ হয়ে যায়। অনেক সময় প্রভাবশালীদের চাপে মামলার চার্জশিট যথাসময়ে দেয়া হয় না। অনেক ক্ষেত্রে চার্জশিটে ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত দুর্বলতার কারণে বিচারপ্রার্থী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন। ধর্ষণ প্রতিরোধের আইনি প্রক্রিয়ায় এসব বিষয়েও দৃষ্টি দিতে হবে। এ বাস্তবতায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ।