বদলগাছীতে মিষ্টি আলু চাষে সফল চাষি নুর ইসলাম

Daily Ajker Sylhet

০৩ ফেব্রু ২০২১, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ণ


বদলগাছীতে মিষ্টি আলু চাষে সফল চাষি নুর ইসলাম

প্রতিনিধি বদলগাছী (নওগাঁ) ঃ
নওগাঁর বদলগাছীতে মিষ্টি আলু আবাদে সফলতার মুখ দেখছেন চাষি নুর ইসলাম। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাউদপুর নামক গ্রামের মাঠে ছোট যমুনার নদীর তীরে ২০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বাড়ির আনাচে-কানাচে ও পতিত জমিতে উন্নত জাতের মিষ্টি আলু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে উপজেলার চাষিদের।
চাষি নুর ইসলাম বলেন, নদীর চরে ঐ ২০ শতাংশ জমিতে আগে অন্য ফসল চাষাবাদ করতেন। কিন্তু সে জমি থেকে খুব ভালো ফলন পেতেন না। এ বছর কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষি অফিস থেকে মিষ্টি আলুর বীজ সংগ্রহ করে চাষাবাদ করেছেন। তিনি আশাবাদী এ সামান্য জমি থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মণের মতো মিাষ্ট আলু পাবেন। সেই মিষ্টি আলু প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে।
তিনি আরো বলেন, মিষ্টি আলু রোপণের আগে জমি প্রস্তুত করতে পাওয়ার টিলার দিয়ে ঐ জমিতে তিনটি চাষ করেছেন। এরপর তিনি জৈব সার, জিপসাম সার, ইউরিয়া, জিংক ও পটাশ দেয়া হয়েছে। সেখানে গোবর ৪০ ভার (৮০ ঝুড়ি), জিপসাম সার ৩৫ কেজি, জৈবসার ৪০ কেজি, জমি চাষাবাদের আগে ও সেচের সময় দুই দফায় ইউরিয়া সার ৩০ কেজি, ডিএপি ৩০ কেজি এবং সেচ একবার প্রয়োগ করেছেন।
এতে করে প্রায় চারা কেনাসহ সাড়ে ৭ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে তার। জমি চাষের ১৫ দিন পর চারা রোপণ করা হয়। কৃষি অফিস থেকে মিষ্টি আলু বারী-৮ জাতের বীজ সংগ্রহ করা হয়।
জমি রোপণ করা প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এটা মৌসুমী খেত। মাটিতে রস থাকলে একবার সেচ দিলেই হয়। তবে রোগ বালাই নাই বললেই চলে। আগে ওই জমিতে পাট ছিল। অফিসের পরামর্শে মিষ্টি আলু লাগিয়েছি। এবার সফল হলে আবারও আলু লাগাবো। আলু উঠানোর পর ওই জমিতে পটল লাগানো হবে।
একই গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। সেখানে কৃষি অফিস থেকে আমাদের মিষ্টি আলু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। আগামীতে আমরা নদীর চরের জমি গুলোতে মিষ্টি আলুর আবাদ করবো ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১১৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের মিষ্টি আলুর চাষাবাদ হয়েছে। আর এই মিষ্টি আলু বেশি চাষাবাদ হয়েছে বদলগাছী সদর ও আধাইপুর ইউনিয়নের নদীর চর এলাকায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাসান আলী বলেন, লাল রংয়ের মিষ্টি আলু হেক্টর প্রতি ৩৫ মে.টন উৎপাদন হয় এতে ভিটামিন এ ক্যারোটিন পাওয়া যায় এবং শিশুদের রাতকানা রোগ থেকে মুক্ত করে। এবং মিষ্টি আলু চাষে সময় লাগে কম এবং ফলনও ভালো হয়। এটি একটি লাভজনক ফসল এবং বাজারে এর দামও ভালো।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বাড়ির আশপাশে আনাচে-কানাচে ও পতিত জমিতে মিষ্টি আলু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অধিক পরিমাণ ফলন পেতে উন্নত জাতের ফসল উৎপাদনের জন্যও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।