বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এদিন নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া, কুইন্সল্যান্ড ও তাসমানিয়ায় ৬৭ হাজারেরও বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় মোট ১৬ লাখ কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ শনাক্ত হয়েছে গত দুই সপ্তাহে। দেশটিতে মোট মৃত্যু ২ হাজার ৭৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রথম দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও এখন অস্ট্রেলিয়ায় পরিস্থিতি নাজুক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। মহামারির যে কোনো পর্যায়ের চেয়ে এখন দেশটির হাসপাতাল ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে (আইসিইউ) কোভিড রোগীর সংখ্যা বেশি। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ ৩৬ জনের মৃত্যু হওয়ার পর গণমাধ্যমকে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডমিনিক পেরোটে বলেন, ‘আজ আমাদের রাজ্যের জন্য এক কঠিন দিন।’
টিকা দেওয়ার উচ্চমাত্রার কারণে রাজ্যটিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের বিরোধিতা করে আসছেন পেরোটে। তিনি জানান, হাসপাতালগুলো এখনো রোগী ভর্তির ক্রমবর্ধমান সংখ্যার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ভিক্টোরিয়া রাজ্যে মঙ্গলবার হাসপাতালগুলোতে ‘কোড ব্রাউন’ ঘোষণা করেছে। সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে স্বল্প মেয়াদের জন্য এই কোড ঘোষণা করা হয়। এর অধীনে হাসপাতালগুলো জরুরি নয় এমন স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করতে পারবে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ টিকাবিহীন অল্প বয়সী বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যগুলো লকডাউন এড়িয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার চেষ্টা করে গেলেও মঙ্গলবার প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, ওমিক্রনের ঢেউয়ের কারণে লোকজন স্ব-আরোপিত লকডাউন শুরু করে দিয়েছে। আর তাতে কেনাকাটা হ্রাস পেয়েছে। কয়েক মাস পরই অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় নির্বাচন। তার আগে ওমিক্রনের কারণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে বলে জরিপটিতে উঠে এসেছে। জনসমর্থনে এই মুহূর্তে বিরোধী লেবাররা এগিয়ে আছে।