ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের স্বীকৃতির কথা ভাবছেন পুতিন - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সন্ধ্যা ৭:০৬, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের স্বীকৃতির কথা ভাবছেন পুতিন

banglanewsus.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের স্বীকৃতির কথা ভাবছেন পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী দোনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তিনি রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। প্রতিবেশী দেশের দোনবাস অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে আসছে রাশিয়া।

২০১৪ সাল থেকে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে তারা লড়াই করে আসছে। এখন পর্যন্ত ওই স্ব-ঘোষিত প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দেয়নি মস্কো। পশ্চিমা দেশগুলোর শঙ্কা, দোনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বীকৃতি দিলে মস্কো সেখানে প্রকাশ্যে সেনা পাঠাবে।

স্বীকৃতি পেতে ইতিমধ্যে ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন দোনেতস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের প্রধান ডেনিস পুশিলিন ও লুহানস্কের প্রধান লিওনিড পেসিনিক। তবে পুতিনের এই স্বীকৃতি পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা আরও বাড়বে।

ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর সম্ভাব্য হত্যা কিংবা আটকের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করেছে রাশিয়া। গোয়েন্দাদের বরাতে এমন দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সতর্ক করে জাতিসংঘে একটি চিঠিও দিয়েছে ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, ইউক্রেনে রুশ হামলা কতটা সহিংস ও নির্মম হবে, এটি তারই আলামত।

সোমবার সকালে এনবিসি’স টুডে শোতে তিনি জানান, এটি কেবল দুদেশের মধ্যকার কোনো প্রচলিত যুদ্ধ না হওয়ায় নৃশংসতার মাত্রা অনেক বড় আকারে হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইউক্রেনের নাগরিকদের দমন করতে তাদের ওপর একটি যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে যাচ্ছে রাশিয়া।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে ইউক্রেন সংকট নিয়ে সম্মেলনের কোনো বাস্তবিক পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।

এর আগে দুই নেতা একটি বৈঠকে সম্মত হয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। এই সম্মেলনকে কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের সবচেয়ে বড় সামরিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।

এছাড়া তাদের বৈঠকের মাধ্যমে কূটনৈতিক সমাধানের খবর প্রচারিত হওয়ার পর থেকে অর্থনৈতিক বাজারেও প্রত্যাশার আলো জ্বলে ওঠেছিল। কিন্তু এ নিয়ে সত্যিকারের কোনো অগ্রগতির কথা নিশ্চিত করতে পারেনি ওয়াশিংটন ও মস্কো।

উপগ্রহের মাধ্যমে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়া দেড় লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া। যা অস্বীকার করছে মস্কো।

ইউক্রেন যাতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যুক্ত না হয়; তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বেলারুশে রাশিয়ার সামরিক মহড়ার সময় আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর উত্তেজনাও বেড়েছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, পুতিন ও বাইডেনের মধ্যে যে কোনো সময় ফোনালাপ হতে পারে। কিন্তু একটি সম্মেলন আয়োজনের বাস্তবিক কোনো পরিকল্পনা নেই।

তিনি বলেন, উত্তেজনা বাড়ছে। কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। চলতি সপ্তাহে পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠক হওয়া সম্ভব। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের একটি অসাধারণ বৈঠকে বক্তব্য দেবেন পুতিন।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, যদি ইউক্রেনে কোনো হামলা চালানো না হয়, তবেই নীতিগতভাবে বৈঠক করতে প্রস্তুত রয়েছেন বাইডেন। আমরা সবসময় কূটনৈতিক সমাধানে প্রস্তুত।

বাইডেনের প্রেসসচিব জেন সাকি বলেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধকেই বেছে নিতে চায়, তবে আমরা তাৎক্ষণিক ও মারাত্মক পরিণতি চাপিয়ে দিতে প্রস্তুত রয়েছি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।