মহররম মাসের আমল

Daily Ajker Sylhet

newsup

০৮ আগ ২০২২, ০৩:৩০ অপরাহ্ণ


মহররম মাসের আমল

ধর্ম: মহররম মাসের সুন্নত আমল সম্পর্কে সহিহ হাদিসসমূহে যা বর্ণিত হয়েছে তা হলো, আশুরার রোজা পালন করা। রাসুল (সা.) ১০ মহররমে রোজা পালন করেছেন। ইহুদি ও নাসারারা শুধুমাত্র ১০ মহররমকে সম্মান করতো এবং রোজা রাখতো। তাই রাসুল (সা.) তাদের বিরোধিতা করার জন্য ওই দিনসহ তার পূর্বের অথবা পরের দিন মিলিয়ে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
অতএব, সুন্নত হলো ৯ ও ১০ অথবা ১০ও ১১ মহররমে রোজা পালন করা। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন নবীজি (সা.) যখন আশুরার রোজা রাখতেন এবং রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন, তখন সাহাবায়ে কেরাম রাসুলকে (সা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইহুদি ও নাসারারা এই দিনটিকে (১০ মুহররম) সম্মান করে।
তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আগামী বছর বেঁচে থাকলে ইনশাআল্লাহ আমরা ৯ মহররমসহ রোজা রাখবো। রাবী বলেন, কিন্তু পরের বছর মহররম আসার আগেই তার মৃত্যু হয়ে যায়।
অন্য হাদিসে এসেছে, ইবনে আববাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখো এবং ইহুদিদের বিরোধিতা করো। তোমরা আশুরার সঙ্গে তার পূর্বে একদিন বা পরে একদিন রোজা পালন করো।
আশুরার রোজার ফজিলত: ফজিলতের দিক থেকে রমজানের রোজার পরই আশুরার রোজার অবস্থান। এটি পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহের কাফফারা স্বরূপ। অর্থাৎ, এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা হয়।
আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলে কারীম (সা.) বলেন, রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হলো মহররম মাসের রোজা (অর্থাৎ আশুরার রোজা) এবং ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ হলো রাতের নফল নামাজ (অর্থাৎ তাহাজ্জুদের নামাজ)।
অন্য হাদিসে এসেছে, আবু ক্বাতাদাহ (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, আমি আশা করি আশুরা বা ১০ মহররমের রোজা আল্লাহর নিকট বান্দার বিগত এক বছরের (সগীরা) গোনাহের কাফফারা হিসাবে গণ্য হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।