বাঙালি জাতি অবিভূত!“তোরা সব জয়ধ্বনি কর!” - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ১২:১৭, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

বাঙালি জাতি অবিভূত!“তোরা সব জয়ধ্বনি কর!”

newsup
প্রকাশিত অক্টোবর ২২, ২০২২
বাঙালি জাতি অবিভূত!“তোরা সব জয়ধ্বনি কর!”

মকবুল তালুকদার : শিরোনামের দ্বিতীয় পংক্তিটি বিদ্রোহী কবি নজরুলের একটি গান/কবিতার প্রথম লাইন।বিজয়কে তিনি জয়ধ্বনির মাধ্যমে উদযাপনের জন্য উক্ত পংক্তিটি লিখেছিলেন।আমিও বাংলাদেশের একটি অভূতপুর্ব সাফল্যের পর “জয় ধ্বনি” করে বিজয় উদযাপন করার আহবান জানাতেই পংক্তিটি প্রবন্ধের শিরোনামে ব্যবহার করেছি।
সন্মানিত পাঠকবৃন্দ, আপনারা ইতোমধ্যেই অবগত হয়েছেন যে, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেএী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে “বাংলাদেশ” জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে সর্বোচ্চ একশত ষাট (১৬০) ভোট পেয়ে “জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল সদস্য” নির্বাচিত হয়েছে।এটি অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরব ও বিরাট সাফল্যের বিষয়। তাই আসুন প্রথমেই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জানাই আমাদের প্রানঢালা অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য বিশিষ্ট দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬০টি সদস্য দেশের ভোটে মানবাধিকার কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হওয়াকে ১৯৭১’এ মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিজয় বলে আমি মনে করি।আমার যুক্তি হ’লো, সম্প্রতি, বাংলাদেশ বিরোধী চক্র যে মুহুর্তে মার্কিন প্রশাসনকে ভূল বুঝিয়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও আইনের শাসন নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছিল; ঠিক সেই মুহুর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ ভূমিকা ঐ সকল ষড়যন্ত্র ভন্ডুল করে অভিযোগ সমুহকে অসার প্রমান করে বাংলাদেশকে পুনরায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত করা নি:সন্দেহে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট বিজয়।এ বিজয়ে বাঙালি জাতি আনন্দিত, অভিভূত ও উচ্ছসিত।তাই এ বিজয়কে বাঙালি জাতি উদযাপন করবে কবি নজরুলের সেই ঐতিহাসিক উচ্ছাসের বানী “তোরা সব জয়ধ্বনি কর”বলে।
প্রসংগক্রমে বলতে চাই, বাংলাদেশ যখন বিশ্ব দরবারে মাথা উচুঁ করে দাড়িয়েছে; বাংলাদেশ যখন নিন্ম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে; বাংলাদেশ যখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নিন্মান করে অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও যোগ্যতা বিশ্ব দরবারে প্রমান করতে পেরেছে; বাংলাদেশ যখন আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত দেশের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করছে; তখন কে বা করা বা কেন উক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাধা সৃষ্টির জন্য দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা এবং মিথ্যাচারের মাধ্যমে দেশের বাইরের কিছু মোড়ল রাষ্ট্র সমুহের মাধ্যমে সম্পুর্ন অন্যায় ভাবে স্যাংশন দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ের পথ রুদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে; তা জানা দরকার। অবশ্য বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের দিকে একটু ফিরে তাকালে এর উত্তর পাওয়া যাবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্হানের নির্যাতন -অত্যাচার থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তখন পাকিপ্রমি গাদ্দার শ্রেনীর কিছু লোক বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে। তারা হলো জামাত ও তাদের সৃষ্ট রাজাকার আলবদর আল সামস।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার লক্ষ্যে পরাজিত শক্তি জামাত শিবির রাজাকার এবং তাদের প্রভূ রাষ্ট্রের অর্থায়নে খুনী জিয়া-মুস্তাক স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। অত:পর ক্ষমতাকে দীর্ঘস্হায়ী করার লক্ষ্যে খুনী জিয়া জামাত শিবির রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী-মানবতা বিরোধী, চরিএহীন, লোভী, দুর্নীতি পরায়ন এবং সুবিধাবাদীদেরকে নিয়ে বিএনপি গঠন করে বাংলাদেশ থেকে আইনের শাসন, মানবতা/মানবাধিকার, গনতন্ত্র/সুষ্ঠ নির্বাচন পদ্ধতিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করে এবং Money is no problem শ্লোগান দিয়ে দূর্নীতিকে অবাধ ও সার্বজনিন করার লক্ষে লাইসেন্স প্রদান করে।জিয়ার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা ও পুএ তারেক মিলে বাংলাদেশকে লুটপাট ও দূর্নীতির সর্বোচ্চ স্হানে নিয়ে যায় এবং বিশ্ব তালিকায় বাংলাদেশ দূর্নীতির শীর্ষস্হান অধিকার করে। অতপর বিএনপি ১৯৯৬ সালে জনগনের ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের পরিকলিপনা নিয়ে অগ্নি-সন্ত্রাস, বাস/ট্রেনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা,ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়ে পুলিশ ও নির্বাচনে দায়িত্বে কর্মরত কর্মকর্তাদের হত্যা, ৭১’এর পরাজিত জামাত শিবির, রাজাকার ও জংগি লালন করে সন্ত্রাসী/নাশকতামুলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। তারা ২০০৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী আওয়ামী লীগের শান্তিপুর্ন সভায় শত শত গ্রেনেড ছুঁড়ে বিরোধী দলীয় নেএী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালায় এবং আইভি রহমান সহ আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী হত্যা ও পথচারীসহ শতাধিক নিরীহ মানুষকে আহত/পংঙ্গু করে।এতদভিন্ন, তারা ২০০৭ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা চালায় এবং এতিমের টাকা চুরি, খাম্বা দুর্নীতি এবং প্রতিহিংসার জ্বালা মেটাতে হিন্দু ও ক্ষুদ্র- নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ের বাড়ী ঘরে অগ্নি সংযোগ ও তাদের উপর অমানবিক অত্যাচার শুরু চালায়।কথায় আছে “ আল্লাহ’র মাইর, দুনিয়ার বাইর”। তাই, সংগত কারনেই বিএনপি’র স্বৈরাচারী, অগনতান্ত্রিক, অমানবিক ও দূর্নীতি পরায়ন অপ-শাসনের জন্য ২০০৮ সালে তত্বাবধায়ক সরকার পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনে বিএনপি জনগনের ভোটে পুনরায় ক্ষমতাচ্যুত হয়। অত:পর বিএনপি তাদের দলের আভ্যন্তরিন কোন্দল ও সন্ত্রাসী তারেক জিয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহন করায় দেশে-বিদেশে বিএনপি’র ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হলে পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সাধারন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা থেকে বিরত থাকে। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জামাত রাজাকারদের সাথে জোটভূক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলেও জনগন কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়।অত:পর বিএনপি জনবিছিন্ন হয়ে “ঢাল নাই; তলোয়ার নাই; নিধিরাম সর্দারের মতো” রাজপথ ছেড়ে উত্তর পাড়া, দক্ষিন পাড়া, কূটনৈতিক পাড়া ও মিডিয়া পাড়ায় যাতায়াত করে অবৈধ পথে ক্ষমতায় যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে। তাই বর্নিত আলোচনায় ইহা স্পষ্ট যে, বিএনপিই দেশ ও বিদেশে মিথ্যা তৈরীর “বায়োস্কোপের বাক্স”থেকে মিথ্যা তৈরী করছে এবং লবিষ্ট নিয়োগ করে জনন্দিত এবং বার বার জনগন কর্তৃক নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের অপচেষ্টা করছে।
তবে বিএনপি’র এই চেষ্টা সফল হবেনা বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন মনে করেন; কারন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার কৃষক বান্ধব, উন্নয়ন ধর্মী এবং জনকল্যান মুলক কর্মসূচির মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, দু:স্হ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বা অনুর্ধ এিশ টাকা মূল্যে চাল বিতরন, আড়াই লক্ষাধিক গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে বিনামূল্যে মূল্যে দুই কাঠা জমিসহ বাড়ী তৈরী করে বিতরন, গ্রামীন রাস্তা-ঘাট ও ব্রীজ কালভার্ট ও রেলওয়ে ক্রসিংএ উড়াল সেতু নিন্মান, বিভাগীয় শহরে উড়াল সেতু, মেট্রোরেল, কর্নফুলি নদীর তলদেশে পাতাল সেতু নির্মান, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অধিক সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে বৈদেশিক সহায়তায় রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান এবং সর্বপরি নিজস্ব অর্থায়নে “পদ্মাসেতু”নির্মান করে, একদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেএী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগনের নিকট উন্নয়নের কারিগর এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একমাএ জন নন্দিত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন।অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ সরকারের জনগনমূখী কর্মসূচীর ফলে খাদ্যে সয়ংসম্পুর্নতা ও খাদ্য নিরাপওা নিশ্চিত করন এবং অবকাঠামো ও যোগাযোগ উন্নততর হওয়ায় প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও চাহিদা পুরন হওয়ায় জনগনের মাথা পিছু আয় ও ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অতি দ্রুততম সময়ে মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছে। ফলে বাংলাদেশের জনগন মনে করেন; বাংলাদেশের এই অভূতপুর্ব সফলতার একক কৃতিত্ব জননেএী শেখ হাসিনার এবং সংগত কারনেই তারা মনে করেন জাতির পিতার স্বপ্ন স্বাধ স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌছে দিতে শেখ হাসিনার মতো দুর্নীতি মুক্ত ও দেশপ্রেমিক নেএীত্ব বারবার দরকার।
কিন্তু বাংলার জনগনের এ প্রত্যাশা পুরন হলে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও তাদের প্রভূ মোড়লদের “বাড়া ভাতে ছাই”পরবে বলে মনে করে তারা সমুদ্রের অতল গহরবে ভাসমান ও হাবু ডাবু খাওয়া পতিত বিএনপি ও জামাত শিবিরকে “কোরামিন” ইনজেকশন দিয়ে মিথ্যাশ্রয়ী রাজনীতি পুন: চালু করার জন্য মাঠে নিয়ে আসে। মাঠে এসেই বিএনপি তাদের পুর্বের স্বভাব অনুযায়ী মিটিং মিছিলের নামে ভাংচুর, জ্বালাও পোড়াও এবং অফিস আদালতে হামলা/আক্রমন শুরু করে। জনগনের সম্পদ রক্ষার্থে পুলিশ এগিয়ে তারা পুলিশকে আক্রমন করে এবং উল্টো কূটনৈতিক পাড়ায় গিয়ে বিভিন্ন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অভিযোগ করে যে সরকার পুলিশের মাধ্যমে তাদের মিটিং মিছিলে বাঁধা দিয়েছে এবং মারপিট করেছে।অন্যদিকে বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের কুৎসা রটনা এবং মিথ্যা ভিডিও তৈরী করে সে দেশের সরকার ও প্রশাসনকে প্রভাবান্তিত করার চেষ্টা করছে। যেমনটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন লবিষ্টদের মিথ্যাচারের পাল্লায় পড়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘিত হওয়ার অভিযোগ এনে বাংলাদেশের আইন শৃংখলা বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্যাংসন প্রদান করে।এতে আমি মার্কিন প্রশাসনকে খুব একটা দোষারোপ করবো না। কারন, কাজটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসি বাংলাদেশ বিরোধী চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের লবিষ্টদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরকে ভূল বুঝিয়ে এ কাজটি করতে সক্ষম হয়েছে। আমি বরন্চ বাংলাদেশ সরকারের স্হানীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও স্বাধীনতার পক্ষের স্হানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কিছুটা দায় রয়েছে বলে মনে করি।কারন তাঁরা স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ও তাদের লবিষ্টদের অপ-তৎপড়তার বিরুদ্ধে এদেশের সরকারের প্রভাবশালী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নির্বাচিত জন প্রতিনিধি, মুলধারার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করে বাংলাদেশে চলমান রাজনীতি, আইন শৃংখলা ও মানবাধিকার পরিস্হিতি ব্যাখ্যা করে তাদের মনোভাব পরিবর্তনের চেষ্টা করতে পারতেন। স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেই দোষ দেই কিভাবে? কারন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি তথা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত এবং দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত করার চাইতে নিজেদের মধ্যে রেষারেষি ও পদ পদবী প্রাপ্তির লক্ষ্যেই বেশী ব্যস্ত।তাই দু:খ জনক হলেও সত্য যে, দেশ কিংবা দেশের বাইরে সংশ্লিষ্ট ক্ষেএে জনবল থাকা সত্বেও দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই হস্তক্ষেপ করতে হয়।
সাম্প্রতিক কালে জামাত শিবির ও বিএনপির কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় বাংলাদেশ-আমেরিকার মধ্যে চলমান সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীকেই ভাবতে হয়। আমারও ভাবতে ভাল লাগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা হয়তো আগেই ভেবে রেখেছিলেন মার্কিন প্রশাসন কর্তৃক আনীত স্যাংশন পরিস্হিতি তিনি কি ভাবে মোকাবেলা করবেন। তাই তো তিনি প্রথমে স্যাংসন প্রাপ্ত পুলিশ প্রধান ড. বেনজিরকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে স্যাংশনের অকার্যকতা প্রমান করেছেন।অত:পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা জাতি সংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে মাথা উচু করে হুংকার দিয়ে বলেছেন, “কথায় কথায় স্যাংশন নয়”!, স্যাংশনে মানবাধিকার লংগিত হয়”, “যুদ্ধ নয়; শান্তি চাই”।”বিশ্ব মানবতার কল্যানে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব চাই”। “চাই পারস্পারিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা”। বিশ্ব দরবার স্তব্দ হয়ে যায় কিছুটা সময়ের জন্য। উপস্হিত বিশ্ব নেতৃবৃন্দ অবাক বিস্ময়ে শ্রবন করেন “গনতন্ত্র, মানবতা, মানবাধিকার এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ছবক”বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেএী শেখ হাসিনার কাছ থেকে।তিনি বিশ্ব মোড়লদেরকে চোঁখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলেন, একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে স্যাংশন প্রদান করা হলে, কি ভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের জনগোষ্ঠীর উপর তার প্রভাব পড়ে বা কি ভাবে মানবতা বা মনবাধিকার লংঘিত হয়। এই ভাবেই বিশ্ব দরবারে উপস্হিত বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আনীত “স্যাংশন” যথাযথ নয় প্রমান করে বিশ্ব সংস্হার শতকরা ৮৩ ভাগ সদস্য দেশের সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশকে জাতি সংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত করলেন।তাই আসুন,স্বাধীনতার পক্ষ শক্তির পক্ষে শ্লোগান তুলি, “জয়তু মহাত্মা শেখ হাসিনা”।
পরিশেষে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেএী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মতোই দেশপ্রেম, জ্ঞান ও নেতৃত্বের আলোক বর্তিকা ছঁড়িয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জল থেকে উজ্জলতর করেছেন।তাই আসুন আমরা মহান আল্লাহ তায়ালা’র কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনার দীর্ঘ জীবন কামনা করি ও তাঁর হাতকে শক্তিশালী করি।
*যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি বীর মুক্তিযোদ্ধা,কলামিষ্ট, কৃষিবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, গবেষক ও উপদেষ্টা, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।