ডেস্ক নিউজ: কক্সবাজার থেকে ফিরে: কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি অবসাদ দূর করতে ছুটি পেলেই মানুষ ছুটে যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। সুনীল সাগরে নিজের সব ক্লান্তি দূর করে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করে।
সমুদ্রের বুকে গর্জে ওঠা ঢেউগুলো যখন তীরে আছড়ে পড়ে, তখন যেন সেখানকার মানুষের দুঃখগুলো নিমিষেই শুষে নিয়ে চলে যায়। তবে সবাই অখণ্ড অবসর কাটাতে সাগরে ছুটলেও কিছু মানুষ ছোটে বাঁচার তাগিদে। এ বিশাল সমুদ্র সৈকতই তাদের জীবিকা। বিচিত্র সব পেশার সমাহার ঘটেছে এ বালুকাবেলায়। পর্যটনকে কেন্দ্র করে ভিন্ন ভিন্ন সব সৌখিনতা সমুদ্রপাড়ের মানুষের পেশা হয়ে উঠেছে। আর তাদের পেশার কারণেও অনেকটা ভিন্ন আকর্ষণ ও বৈচিত্রতা পেয়েছে এ সমুদ্র সৈকত।
সৈকতে পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য কেউ ঘোড়া নিয়ে হাজির, কেউ পর্যটকদের সমুদ্রে গোসল নিরাপদ করতে টিউব সরবরাহ করছেন লাইফ জ্যাকেটের বিকল্প হিসেবে। আবার কেউ সমুদ্রের নোনাজলের মধ্যে দাপিয়ে বেড়ানোর সেই রোমাঞ্চকর স্বাদ দিতে দিচ্ছেন জেড স্কি চালানোর সুযোগ। আর এ সবকিছুই একদিকে পর্যটকদের সৌখিনতা অন্যদিকে পর্যটন শহরের মানুষের আয়ের উৎস। তারা এ পেশার মাধ্যমে জীবন-জীবিকার জোগান মেটান। তাই এ সমুদ্র সৈকতই তাদের একমাত্র কর্মস্থল। এখানেই দিন কাটে, রাত কাটে; ভোর হয় অনেকের। রোজ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত অবধি জীবনের ঘানি টেনে যান তারা।
এমনই এক পেশা- ভ্রাম্যমাণ আলোকচিত্রী। হাতে দামি স্মার্টফোন থাকলেও অত্যাধুনিক লেন্সযুক্ত ডিএসএলআর ক্যামেরায় চকচকে ছবি তুলতে কার না ভালো লাগে? আর সেই ছবি যদি হয় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে, তাহলে তো কথাই নেই। কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে তাই নিবন্ধিত অনেক আলোকচিত্রী কাজ করছেন গেল বেশ কয়েক বছর ধরেই। সৈকতে ভ্রমণ পিয়াসী মানুষের ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করেন এসব তরুণ ভ্রাম্যমাণ আলোকচিত্রী। তবে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে দর দাম নিয়ে পর্যটকদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়ই।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।