বিশেষ প্রতিবেদন: কয়লা ও সারবাহী কার্গো জাহাজ নিয়মিত বিরতিতে মোংলা বন্দরের চ্যানেল ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে ডুবছে। এর ফলে এগুলো পানিতে মিশছে। এ কারণে নদ-নদীর প্রতিবেশ ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যর ঝুঁকি বাড়ছে। পশুর নদীর হারবাড়িয়ায় সর্বশেষ ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজের ৫০০ টন সার পানিতে মিশে গেছে। এর আগে একাধিকবার সার ও কয়লা নিয়ে কার্গো জাহাজ ডুবেছে। সার নদীতে মিশেছে, আর কয়লা দীর্ঘদিন পানির নিচে ছিল। এ সব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। নদ-নদীর প্রতিবেশ ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। এতে সুন্দরবনে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, ‘সার ও কয়লা পরিবেশের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো পানিসহ প্রকৃতিক পরিবেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। জীববৈচিত্র্যের জন্যও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সার পানিতে মেশার ফলে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তা নিয়মিত পরীক্ষা করা প্রয়োজন।’
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ভিদে পোকামাকড় ও রোগ বালাইয়ের আক্রমণ ঠেকাতে এই সার ব্যবহার করা হয়। এই সারে ৫০ ভাগ পটাসিয়াম থাকে। যা জলজ সম্পদের ক্ষতিসহ পাশের সুন্দরবনের পরিবেশও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।’
২৫ জানুয়ারি ডুবে যাওয়া শাহজালাল এক্সপ্রেস-২ জাহাজ গত ২৫ জানুয়ারি রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ‘শাহজালাল এক্সপ্রেস-২’ জাহাজটি ডুবে যায়। এতে বিএডিসি আমদানি করা ৫০০ টন সার ছিল। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজটির মালিকপক্ষ এটি উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। জাহাজটির মালিক আজাহার সিদ্দিক বলেন, ‘লাইটার জাহাজ এবং জাহাজে থাকা সার উদ্ধারে নির্ধারিত সময়ের ১১ দিন পর মোংলা ও খুলনার ডুবুরি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। শুরুতে তারা জাহাজের সার অপসারণের চেষ্টা চালায়। তবে কোনও সার পাওয়া যায়নি। পুরো সারই নদীতে তলিয়ে গেছে।’
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।