বিশেষ প্রতিবেদন:বকেয়া গ্যাস বিল আদায় করে দিতে পারলে মিলবে পুরস্কার। তবে এই সুযোগটি সবার জন্য নয়। গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কর্মকর্তারা পাবেন এই সুবিধা। সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগে অনুষ্ঠিত একটি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত এই প্রথম বলে জানা গেছে।
গ্যাস ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ সময়মতো বিল পরিশোধ করবে এটিই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বিল দেন না এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। আবার বিল না দেওয়ার জন্য তাদের নোটিশ দিলেও করেন হাঙ্গামা। তবে সাধারণ গৃহস্থালির গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এমনটি খুব কমই ঘটে প্রভাবশালী হোমড়া-চোমড়া শিল্প প্রতিষ্ঠান এমনকি সরকারের কিছু প্রতিষ্ঠান সময় মতো বিল পরিশোধে গড়িমসি করে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট সময়ে বিল পরিশোধের তাগাদা দেওয়া হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্যাস বিল পরিশোধের জন্য তাগাদা দিলেই তারা পরিশোধ করে। আসলে গ্যাস-বিদ্যুৎ ব্যবহারের পর অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানের মনেই থাকে না বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা। এর বাইরে যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের বিল পরিশোধের বিষয়ে সক কোম্পানিকে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সব কর্মকর্তাকে আদায় প্রক্রিয়াতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এই আদায় প্রক্রিয়াতে যারা ভালো কাজ করবেন তাদের পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জ্বালানি বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান এবং সব গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে জ্বালানি সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, গ্যাসের বিল আদায়ে কেউ যদি বিশেষ পারদর্শিতা দেখাতে পাবেন তাকে পুরস্কৃত করা হবে।
এখন দেশে পাঁচটি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি রয়েছে। তবে সব চাইতে বেশি গ্যাস বিতরণ করে তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। এছাড়া কর্ণফুলি এবং বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির বিদ্যুৎ এবং শিল্পে বড় গ্রাহক রয়েছে। তবে পশ্চিমাঞ্চল এবং সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির গ্রাহক তুলনামূলকভাবে কম।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।