ডেস্ক রিপোর্ট: অমর একুশে বইমেলায় প্রতিদিনই আসে নতুন বই। ১৯তম দিন পর্যন্ত মেলায় নতুন বই এসেছে ১ হাজার ৯৯৩টি। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত মোট বই এসেছে ৫৭টি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বই এসেছে ৩৯টি। এর মধ্যে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দিন ১টি করে। পঞ্চম দিন ২টি, ষষ্ঠ ও অষ্টম দিন ৩টি, নমব দিন ২টি, দশম দিন ৪টি, ১১তম দিন ২টি, ১৩তম দিন ৪টি, ১৫তম দিন ১টি, ১৬তম দিনে ৫টি, ১৭তম ৪টি, ১৮তম ২টি ও ১৯তম দিন এসেছে ৪টি।বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই এসেছে ১৮টি। এর মধ্যে পঞ্চম দিন ১টি, ষষ্ঠ দিন ৩টি, সপ্তম, নবম ও ১১তম দিন ১টি করে, ১৫তম দিন ২টি, ১৬তম দিন ৪টি, ১৭তম দিন ১টি, ১৮তম দিন ৩টি এবং ১৯তম দিন এসেছে ১টি। মেলায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত বইগুলোর চাহিদা তুলনামূলক ভালো বলছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে এসব বই কিনছেন অধিকাংশ গবেষক ও শিক্ষক। এ ছাড়া তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও এসব বইয়ের চাহিদা রয়েছে বলেও তারা জানান। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন স্টলের বিক্রয়কর্মী শাহজালাল বলেন, আমাদের এখানে যেসব বই আছে, সেগুলো চলছে মোটামুটি। এখানে মূলত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়েই বই রয়েছে। বই যারা কেনেন, তাদের বেশির ভাগই শিক্ষক-গবেষক শ্রেণির। তরুণরা এখানে তেমন একটা আসেন না। আগামী প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী হৃদিতা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় আগামী প্রকাশনী। এখানে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ওপর বইয়ের গুরুত্ব দিয়ে বেশি প্রকাশ করে। প্রায় সব শ্রেণির পাঠকই এসব বই কেনেন। তবে এর মধ্যে গবেষক ও শিক্ষকদের চাহিদা
বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও একসঙ্গে ২০ থেকে ২৫ কপি করে বই কেনেন। ঐতিহ্যের বিক্রয়কর্মী মেহেদী হাসান রিফাত বলেন, আমাদের স্টল থেকে তরুণ-প্রবীণ সব শ্রেণির পাঠকই মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে লেখা বই কেনেন। তবে যারা কেনেন, তারা কোনও না কোনোভাবে গবেষণার সঙ্গে জড়িত। শিক্ষার্থীরাও তাদের থিসিসের কাজের উদ্দেশ্যেই কেনে বেশি।
মূল মঞ্চের আয়োজন সোমবার বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ হাসান আজিজুল হক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মোজাফ্ফর হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন ফারুক মঈনউদ্দীন ও মহীবুল আজিজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। প্রাবন্ধিক মোজাফফর হোসেন বলেন, হাসান আজিজুল হক আখ্যানপ্রধান
কথাসাহিত্যিক। বাংলা সাহিত্যের প্রচলিত গল্পের ধারাকে তিনি আরও সমৃদ্ধ ও সম্প্রসারিত করেছেন। এই বঙ্গে গণমানুষ ও প্রান্তিক মানুষ,দাঙ্গা, খরা, দুর্ভিক্ষ, ক্ষুধা, মুক্তিযুদ্ধ, রাঢ়বঙ্গের প্রকৃতি—এসবই তার ছোট গল্পে চিত্রিত হয়েছে। গল্প-উপন্যাসের বাইরে সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, রাজনীতি, দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে তিনি অনেক মননশীল প্রবন্ধ রচনা করেছেন। এ ছাড়া স্বল্প পরিসরে হলেও শিশুসাহিত্য ও অনুবাদের ক্ষেত্রে হাসান আজিজুল হক তার স্বভাবজাত সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী বলেন, বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্পের বরপুত্র হাসান আজিজুল হক গল্প-উপন্যাস ছাড়াও গভীর
পর্যালোচনা ও প্রজ্ঞাসমৃদ্ধ প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তার সাহিত্যের অনালোচিত দিকগুলোর ওপর আলোকপাত করার মাধ্যমে আমরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারবো।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।