বিশেষ প্রতিবেদন: রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুনে হতাহতের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঘটনার বিচার চেয়ে হাইকোর্টে একাধিক রিট দায়ের করা হয়। সেসব রিটের শুনানি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে কাজ করতে বলা হয়েছে কমিটির সদস্যদের। শহরের ব্যস্ততম এলাকা বেইলি রোডে অবস্থিত ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জন মারা যান। আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন ১২ জন। আগুন লাগার পর ভবনটি থেকে ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, ক্ষতিপূরণসহ বেশ কিছু নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একাধিক রিট দায়ের করা হয়। রিটে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করারও নির্দেশনা চাওয়া হয়। রবিবার (৩ মার্চ) জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইসরাত জাহান শান্তনা ও ইউনুছ আলী আকন্দ পৃথক দুটি রিট দায়ের করেন। এছাড়া বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও অগ্নিকাণ্ডে নিহত তানজিনা নওরীনের পরিবারের একজন সদস্য আরেকটি রিট দায়ের করেন|আইনজীবী ইসরাত জাহান শান্তনা ও ইউনুছ আলী আকন্দের রিটের শুনানি নিয়ে কমিটি গঠনসহ বেশ কিছু আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।