ডেস্ক রিপোর্ট: কার্শিয়াংয়ে পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ। জিটিএ (গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ও কার্শিয়াং অ্যারো ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে এখানে চালু হতে চলেছে বাণিজ্যিক প্যারা গ্লাইডিং পরিষেবা। শনিবার জিটিএ প্রধান অনীত থাপা, সদস্য নবরাজ ছেত্রী, নুরি শেরপা এবং পরেশ তিরকির উপস্থিতিতে প্রথম উড়ল ৩টি প্যারা গ্লাইডার। এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে কার্শিয়াংয়ের পর্যটন শিল্পে নবজাগরণ আশা করছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।
জানা গিয়েছে, প্যারা গ্লাইডিংয়ে উড়ানের সময় ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে স্থায়ী হবে। ফ্লাইটের উচ্চতা হবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৪০ মিটার পর্যন্ত। প্যারা গ্লাইডারের দূরত্ব হবে এক কিলোমিটার পর্যন্ত। প্রাথমিকভাবে ১০টি গ্লাইডার নিয়ে এই পরিষেবা চালু হবে। ইতিমধ্যে প্রায় ২০টি পরীক্ষামূলক উড়ান সম্পন্ন হয়েছে এবং রবিবার, ২ জুন থেকে বাণিজ্যিকভাবে তা শুরু হবে। যাত্রীদের রোহিণীতে জিটিএ গেস্ট হাউসের কাছ থেকে তোলা হবে এবং ১০ মিনিট পর ফের সেখানে নামানো হবে।
জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা জানান, “পর্যটন এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়। প্যারা গ্লাইডিং পাহাড়ি পর্যটনকেই সাহায্য করবে। কার্শিয়াংয়ের পর পর্যটকরা দার্জিলিং, মিরিক যাবেন। পর্যটন দার্জিলিং পাহাড়ের মেরুদণ্ড।” তিনি আরও বলেন, “কয়েক বছর আগে কার্শিয়াংয়ে প্যারা গ্লাইডিংয়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অবতরণে সমস্যা হয়েছিল। গত এক বছর ধরে সাফল্যের পর আজ চালু হল।”
কার্শিয়াং অ্যারো ক্লাবের দুই সদস্য জানান, কার্শিয়াংয়ের একট বেসরকারি সংস্থা, কার্শিয়াং অ্যারো ক্লাব, জিটিএ পর্যটন বিভাগের সহযোগিতায় প্যারা-গ্লাইডিং পরিচালনা করবে৷ পেশাদার গ্লাইডিং পাইলট বা গ্লাইডাররা ২০০৭ সাল থেকে গ্লাইডিংয়ের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। এই পরিষেবার মাধ্যমে পর্যটকরা কার্শিয়াংয়ের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
এই নতুন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় জনগণ এবং পর্যটকরা। তাঁদের আশা, এই পরিষেবা পর্যটনের নতুন দ্বার উন্মুক্ত করবে এবং কার্শিয়াংয়ের পর্যটনকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।
সূত্র: খবর অনলাইন
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।