রপ্তানিমুখী উৎপাদনে বাংলাদেশসহ ছোট প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে ভারত: বিশ্বব্যাংক - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৭:০৬, ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

রপ্তানিমুখী উৎপাদনে বাংলাদেশসহ ছোট প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে ভারত: বিশ্বব্যাংক

banglanewsus.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪
রপ্তানিমুখী উৎপাদনে বাংলাদেশসহ ছোট প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে ভারত: বিশ্বব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক:

ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বাড়তে থাকলেও বিশ্ব বাণিজ্যে দেশটির অংশ আশানুরূপ বাড়ছে না। বিশ্বব্যাংক বলছে, দেশটি রপ্তানিমুখী উৎপাদনে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো কম খরচে উৎপাদনকারী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পোশাক, চামড়া, টেক্সটাইল ও ফুটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশ্বব্যাংক গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিগত দশকে ভারতের মোট দেশজ পণ্য তথা জিডিপির আকার বাড়লেও ভারতের পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্য ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। যেমন, পোশাক, চামড়া, টেক্সটাইল ও ফুটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে ভারতের হিস্যা ২০০২ সালে ছিল দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশে। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশে। বিপরীতে, ২০২২ সালে এই পণ্যগুলোর বৈশ্বিক রপ্তানিতে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

রপ্তানি বাড়ানোর জন্য এবং চীনের শ্রম-ঘন উৎপাদন থেকে দূরে সরে যাওয়া থেকে সুবিধা আদায়ের জন্য ভারতকে বাণিজ্য খরচ কমাতে হবে, শুল্ক এবং অ-শুল্ক বাধা কমাতে হবে এবং বাণিজ্য চুক্তি সংশোধন করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ নোরা দিহেল নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এগুলো এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে ভারত মনোযোগ দিতে পারে।’

ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচ্চাকাঙ্ক্ষা হলো—ভারতকে একটি উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করা। কারণ বৈশ্বিক উৎপাদন কোম্পানিগুলো চীন থেকে তাদের সরবরাহ শৃঙ্খল সরিয়ে নিতে চায়। ইলেকট্রনিকস ও চিপ তৈরির মতো শিল্পে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে মোদির সরকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিচ্ছে।

ভারতের রপ্তানি খাতে ক্রমবর্ধমান পুঁজির বিনিয়োগ বাড়লেও তা দেশটির লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানে অক্ষম। তবে তারপরও বিশ্বব্যাংক অনুমান করেছে যে, রপ্তানি সম্পর্কিত প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের বেকারত্ব ২০১২ সালে সাড়ে ৯ শতাংশ থাকলেও ২০২০ সালে তা সাড়ে ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।