সম্পাদকীয়:
দেশে রিজার্ভ সংকটের এ সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রাপ্তির খবরটি স্বস্তিদায়ক। ডলার সংকটসহ বিভিন্ন কারণে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক নিম্নগামী হচ্ছিল। প্রায় দুবছর আগে থেকেই দেশে ডলার সংকট তীব্র আকার ধারণ করছিল। যেহেতু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়সহ বিভিন্ন সূচকে স্বস্তি না থাকায় দেশের অর্থনীতিতে নানা সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল, সেহেতু এ পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। উন্নয়ন সহযোগীদের আশ্বাস অনুযায়ী সহায়তা পাওয়া গেলে আশা করা যায় দেশের বর্তমান সংকটগুলোর অবসান হবে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। আশা করা যায়, প্রবাসীদের এ উৎসাহ অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, এ বছরের জুলাই মাসে আগের ১০ মাসের তুলনায় সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছিল। গত কয়েক বছর ধরেই বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যয়ের হিসাবে ঘাটতি লক্ষ করা যাচ্ছিল। অতীতে ডলার আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় সংকট বেড়েছিল।
দেশে রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি। অবশ্য রপ্তানি খাতের সঙ্গে আমদানির বিষয়টি বিশেষভাবে জড়িত। আমদানি ব্যাহত হলে রপ্তানি খাতে এর প্রভাব পড়ে। আমরা লক্ষ করেছি, ডলার সংকটের কারণে সার্বিক আমদানিসহ শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা কমে গিয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে সব শিল্পেরই উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। দেশে শিল্প উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানি করতেই হয়। ডলার সংকটের অবসানে রপ্তানি আয় বাড়ানোর পদক্ষেপও নিতে হবে। রপ্তানির নতুন বাজার এবং রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের বিষয়টি বহুদিন ধরেই আলোচিত হচ্ছে। দেশে যেসব কারণে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হয়, সেসব সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। গ্যাস-বিদ্যুৎসহ অবকাঠামোগত সমস্যার টেকসই সমাধানে গুরুত্ব বাড়াতে হবে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।