ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
গাজার রাস্তায় হাজারো ফিলিস্তিনি রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বাস করছেন। কেউ নেমেছেন যুদ্ধবিরতি উদযাপন করতে, কেউ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করতে, আবার কেউ ফিরে যাচ্ছেন তাদের ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাড়িতে।
গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহতে আশ্রয় নেওয়া আয়শা বলছেন, ১৫ মাস ধরে মরুভূমিতে পথ হারানোর পর পানি খুঁজে পাওয়ার মতো মনে হচ্ছে। আমি যেন আবার বেঁচে উঠেছি।
হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা খান ইউনিস শহরের রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ভিড়ের মধ্যে জয়ধ্বনি ওঠে। উপস্থিত জনতা হামাসের আল-কাসাম ব্রিগেডকে শুভেচ্ছা জানায়। এক হামাস যোদ্ধা বলেন, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি, ইনশাআল্লাহ। আর যুদ্ধ হবে না।
দীর্ঘ ১৫ মাসের যুদ্ধে প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যাই বেশি। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে শেষ মুহূর্তের ইসরায়েলি হামলায় ১৩ জন নিহত হন বলে জানায় ফিলিস্তিনি সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিস।
আয়শা বলেন, আমাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, তাতে কিছু আসে যায় না। মৃত্যুর ভয় আর অনাহারের দুঃস্বপ্ন অন্তত শেষ হলো।
যুদ্ধবিরতি গাজার ২৩ লাখ মানুষের জন্য নতুন আশার আলো দেখালেও, অনেকেই এই ক্ষতি আর ধ্বংসের বাস্তবতায় শোকগ্রস্ত। আহমেদ আবু আয়হাম বলেন, আমরা ভীষণ ব্যথিত। এটি উদযাপনের সময় নয়, বরং একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কাঁদার সময়।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।