ডেস্ক রিপোর্ট:
কারো সর্দি হলে নামাজের ভেতর বারবার পকেট থেকে টিস্যু নিয়ে নাক পরিষ্কার করলে নামাজ মাকরুহ হবে না।
বরং নাক পরিষ্কার না করার ফলে নাকের ময়লা দ্বারা মসজিদ অপরিষ্কার হলে তা মাকরুহ হবে।
তবে একান্ত প্রয়োজন না হলে বারবার মোছার দ্বারা নামাজ মাকরুহ হবে।
কুরআনুল কারিমের অন্তত ৮২টি স্থানে নামাজের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
নামাজকে গুরুত্বসহকারে আদায় করা, তার ব্যাপারে যত্নবান হওয়া আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য একান্ত জরুরি।
মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘তোমরা নামাজগুলোর প্রতি যত্নবান হও; বিশেষভাবে মধ্যবর্তী নামাজের ব্যাপারে’। (সূরা বাকারা আয়াত ২৩৮)।
হাদিস শরিফে মহানবি (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ, সুতরাং যে নামাজ কায়েম করল সে দ্বীনকেই কায়েম করল।
আর যে নামাজকে ধ্বংস করল, সে দ্বীনকেই ধ্বংস করল’। (শুআবুল ইমান হাদিস নং ২৫৫০)।
নামাজ আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য এবং সঠিকভাবে আদায় হওয়ার জন্য নামাজে একাগ্রতা, একনিষ্ঠতা এবং বিনয় জরুরি। যাকে আরবি ভাষায় ‘খুশু খুযু’ বলা হয়।
এ খুশু খুযু বা একাগ্রতা ছাড়া নামাজ কবুল হয় না। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে ‘দুর্ভোগ সেসব নামাজির জন্য, যারা স্বীয় নামাজের ব্যাপারে উদাসীন’। (সূরা মাউন, আয়াত ৪-৫)।
অন্যত্র এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই মুমিনরা সফলকাম হয়ে গেছে, যারা নিজেদের নামাজে বিনয়-নম্র’। (সূরা মুমিনুন আয়াত নং ১-২)।
অন্য আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যখন তারা নামাজে দণ্ডায়মান হয়, তখন তারা অত্যন্ত অলসতার সঙ্গে দণ্ডায়মান হয়।
শুধু লোকদের দেখায়। উপরন্তু তারা আল্লাহর স্মরণ খুব কমই করে থাকে’। (সূরা নিসা আয়াত নং ১৪২)।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।