“মূল্যবৃদ্ধির জন্য ট্যারিফকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুক ওয়ালমার্ট” — প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া মন্তব্য – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৯:০৬, ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

“মূল্যবৃদ্ধির জন্য ট্যারিফকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুক ওয়ালমার্ট” — প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া মন্তব্য

newsuk
প্রকাশিত মে ১৯, ২০২৫
“মূল্যবৃদ্ধির জন্য ট্যারিফকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুক ওয়ালমার্ট” — প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া মন্তব্য

ডেস্ক রিপোর্ট :  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৭ মে শনিবার ওয়ালমার্টকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত আমদানি শুল্ক বা ‘ট্যারিফ’-কে মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে তুলে না ধরে ওয়ালমার্টের উচিত ‘ট্যারিফের বোঝা নিজেরা বহন করা’। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ মন্তব্য আবারও বাণিজ্যযুদ্ধ ও ট্যারিফনীতি নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। তার মতে, বড় কোম্পানিগুলো যেন এই ধরনের বাড়তি ব্যয় গ্রাহকের ঘাড়ে চাপিয়ে না দেয়। তবে ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, সীমিত লাভের কারণে সব খরচ ব্যবসার পক্ষে বহন করাও সবসময় সম্ভব নয়। ট্যারিফ এবং ভোক্তা ব্যয়—এই দুইয়ের দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে বর্তমানে মার্কিন খুচরা বাজার একটি চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে।

ট্রাম্প এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বার্তায় বলেন, “ওয়ালমার্টের উচিত ট্যারিফকে মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখানো বন্ধ করা। তারা গত বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি। ওয়ালমার্ট ও চীন মিলে এই ট্যারিফ ‘খেয়ে ফেলা’ উচিত, যেন গ্রাহকদের ওপর এর কোন বোঝা না পড়ে।” বিশ্বের সবচেয়ে বড় খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট সম্প্রতি জানিয়েছে, তারা চলতি মাস থেকেই কিছু পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে, কারণ ট্রাম্প প্রশাসনের আমদানি শুল্ক তাদের সরবরাহ চেইনের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে চীন থেকে আমদানিকৃত সাধারণ পণ্যের উপর এই চাপ বেশি পড়ছে।

ওয়ালমার্টের সিইও ডগ ম্যাকমিলন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা জানি ট্যারিফের কারণে কিছু পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে, তবে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে খাদ্যপণ্যের মূল্য যাতে প্রভাবিত না হয়, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করবো। তবে, খুচরা বিক্রির লাভজনক মার্জিন খুব সীমিত হওয়ায় ট্যারিফের সবটুকু বোঝা বহন আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ওয়ালমার্টের পক্ষ থেকে শনিবার দেয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য সংঘাতের কারণে শুধু ওয়ালমার্ট নয়, বহু মার্কিন কোম্পানি তাদের বার্ষিক আয় প্রত্যাশা কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে। এতে সাধারণ ভোক্তার ওপর ব্যয়চাপ বাড়ছে এবং অনেকেই খরচ কমিয়ে দিচ্ছেন। ওয়ালমার্টকে সাধারণত মার্কিন ভোক্তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে ধরা হয়। তাদের সাশ্রয়ী মূল্য নীতির কারণে তারা খরচ নিয়ন্ত্রণে অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি দক্ষ। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২৫৫ মিলিয়ন গ্রাহক ওয়ালমার্টে কেনাকাটা করেন, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৯০ শতাংশ মানুষ ওয়ালমার্টের ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে বাস করেন। এর আগে, তিন সপ্তাহ আগে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, অ্যামাজন তাদের পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরোপিত ট্যারিফ ঠিক কতটা প্রভাব ফেলছে তা জনসমক্ষে আনতে চলেছে। তবে হোয়াইট হাউজ সেই রিপোর্টের সমালোচনা করে এবং অ্যামাজন পরে তা অস্বীকার করে।

Desk: K

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।