দেশের ‘সবচেয়ে সুন্দর’ পাহাড়ি নদী - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ১০:২৮, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

দেশের ‘সবচেয়ে সুন্দর’ পাহাড়ি নদী

প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
দেশের ‘সবচেয়ে সুন্দর’ পাহাড়ি নদী

ডেস্ক রিপোর্ট :: বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ সাঙ্গু নদী। নদীটি পার্বত্য চট্টগ্রামে উত্তরদিকে বৃত্তাকারে বান্দরবান পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। পূর্বদিক দিয়ে বান্দরবানে প্রবেশ করে নদীটি জেলার পশ্চিম দিক দিয়ে বের হয়েছে। প্রায় ২৭০ কিলোমিটার প্রবাহিত হবার পর বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।

পাহাড়ি ঢালে বয়ে চলা সাঙ্গু দেখতে দারুণ দৃষ্টিনন্দন। উৎসমুখ হতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এই নদীর দৈর্ঘ্য ১৭০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে কয়টি নদীর উৎপত্তি তার মধ্যে সাঙ্গু নদী অন্যতম। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবান জেলার মদক এলাকার পাহাড়ে এ নদীর জন্ম।

সাঙ্গু নদীর অপার রূপ দেখে মুগ্ধ হবেন না এমন মানুষ পাওয়া ভার। অপূর্ব এই নদীর দুইদিকে পাহাড়ের সারি। বর্ষায় পাহাড় বেয়ে নামে ছোট বড় অসংখ্য ছড়া। ছল ছল শব্দে ছড়ার চঞ্চল জল এসে মেশে নদীতে। পাহাড়ের ওপরে ভেসে বেড়ায় মেঘ। মনে হয়, ওই চূড়ায় উঠলেই বুঝি ছোঁয়া যাবে, ধরা যাবে, মেঘের মাঝে ভেসে বেড়ানো যাবে। বান্দরবানে এই মনে হওয়াটা মোটেও বেশি নয়। সাঙ্গুর তীরবর্তী পাহাড়ের চূড়ায় সত্যিই জমে থাকে মেঘ। গাছের ফাঁকে আটকে যায়। সেখানেই ঝরে যায় বৃষ্টি হয়ে।

অপূর্ব সুন্দর এই পাহাড়ি নদীর অপর নাম শঙ্খ। পাহাড়ের কোল বেয়ে এঁকে-বেঁকে চলছে কোথাও উন্মত্ত আবার কোথাও বা শান্ত এই নদী। এই নদীর দুই তীরের পাহাড়, বন, নদী ও ঝর্ণার সৌন্দর্যে আপনি বিমোহিত হবেন। এক কথায় এই নদীটির সৌন্দর্যে আপনি শুধু অবাকই হবেন না বরং মুগ্ধতা আপনাকে গ্রাস করবে। এই সৌন্দর্য সত্যিই ভুবন ভোলানো। শীতকালে এই নদীটিতে তেমন স্রোত না থাকলেও বর্ষাকালে এখানে প্রবল স্রোত থাকে।

অপরূপ এই নদীর জলে আপনি স্বল্প খরচে দারুণ নৌকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এই নদীর উদার সৌন্দর্য যেমন আপনাকে মুগ্ধ করবে তেমনি মনে এনে দেবে অনাবিল প্রশান্তি। অপূর্ব জলের বুকে ভেসে বেড়াতে বেড়াতে আপনি হারিয়ে যাবেন সৌন্দর্যের জগতে। নদীর দুপাশের পাহাড়ি সৌন্দর্য আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবেই। সাঙ্গু নদীতে নৌকা ভ্রমণের পাশাপাশি নদীর আশেপাশে পিকনিকের সুব্যবস্থা আছে। তাই চাইলে সদলবলে পিকনিকের আনন্দেও মেতে উঠতে পারবেন।

ঢাকা থেকে বান্দরবানগামী যে কোনো বাসে চলে যেতে পারেন বান্দরবান। শ্যামলি, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, ডলফিনসহ অনেক বাস রয়েছে। ১০ টায় অথবা সাড়ে ১১টার দিকে কলাবাগান, সায়েদাবাদ বা ফকিরাপুল থেকে এসব বাস বান্দরবানের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পৌঁছে যাবেন সকাল ৬টা অথবা ৭টার মধ্যে।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান যেতে পারেন। বদ্দারহাট থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে পূবালী ও পূর্বানী পরিবহনের বাস যায়। এসব বাসে জনপ্রতি ২২০টাকা ভাড়া রাখা হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।