বদলে যাওয়া একটি সরকারি হাসপাতাল - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ৩:৪১, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

বদলে যাওয়া একটি সরকারি হাসপাতাল

ADMIN, USA
প্রকাশিত জানুয়ারি ৭, ২০২০
বদলে যাওয়া একটি সরকারি হাসপাতাল

 

মাহবুব আলম আরিফ, মুরাদনগর (কুমিল্লা):

*মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যার হাসপাতাল
*মূল ভবনে ঢুকলে মনে হবে উন্নত মানের কোন প্রইভেট হাসপাতাল
*পুরো হাসপাতাল ঝকঝকে-তকতকে, মেঝেতে টাইলস বসানো
*হাসপাতালে বেড়েছে রোগী, স্বাস্থ্যসেবায় স্বস্থি

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর সদরেই অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এই সরকারি হাসপাতাল দেশের অন্য উপজেলা হাসপাতাল থেকে বেশ কিছুটা আলাদা। হাসপাতালটি দেখতে বেশ ঝকঝকে, তকতকে। সেবা নিয়েও এলাকার মানুষ সন্তুষ্ট। গত কয়েক বছরে আওয়ামীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ এর ছোয়ায় সরকারি হাসপাতালটির এতো পরিবর্তন এসেছে।
গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের চিকিৎসার বড় আশ্রয়স্থল হচ্ছে উপজেলা হাসপাতাল। দেশে এ রকম হাসপাতাল আছে প্রতি উপজেলায় ১টি করে। কিছু কিছু হাসপাতালে নেই সীমানাপ্রাচীর। আর কিছু হাসপাতালে প্রাচীর থাকলেও তা ভাঙা। হাসপাতালে গরু-ছাগল অবাধে যাতায়াত করে। দেয়ালে পানের পিক, চুনের দাগ চোখে পড়ে। যেখানে-সেখানে থাকে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। ওয়ার্ডগুলোতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রোগীর চিকিৎসা চলে। হাসপাতালজুড়ে থাকে উৎকট গন্ধ। সারা দিনে হয়তো একবার ঝাড়– পড়ে ওয়ার্ডে। টয়লেটগুলো ভাঙা ও নোংরা থাকায় রোগী ও তাদের আত্মীয়রা সেগুলো ব্যবহার করতে চায় না। গত কয়েক বছর আগেও মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র ছিল এ রকম। বর্তমানে এখানের রাস্তাগুলো ২৪ঘন্টা থাকে পরিচ্ছন্ন, চোখে পড়ার মতো রয়েছে ফুলবাগান। পুকুর পাড়ের পুরোটা জুরে দুই সাড়িতে গাছ লাগিয়ে করা হয়েছে হাটার রাস্তা।
আর হাসপাতালের মূল ভবনের সব কক্ষ, বারান্দা, ওয়ার্ড ও টয়লেটের মেঝেতে টাইলস বসানো। পুরো হাসপাতাল ঝকঝকে-তকতকে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার তাঁরা হাসপাতাল ঝাড়– দেন, ড্রেন ও টয়লেট পরিষ্কার করেন। কমপ্লেক্সের পশ্চিম পাশেই নতুন করে স্থাপন করা হয়েছে পরিবার পরিকল্পনার ৩তলা বিশিষ্ট ভবন।
ওমান প্রবাসী মাঈনউদ্দিন পেটে ব্যথা নিয়ে গত ০৬ জানুয়ারী হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসকের উপস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। মাঈনউদ্দিন মানব কন্ঠকে বলেন, ২০১৫ সালে দেশে আসার পর ডায়রিয়ার কারণে আমি ভর্তি হয়েছিলাম। এবার অসুস্থ হওয়ার পর এসে দেখি হাসপাতাল পাল্টে গেছে। হাসপাতালে নিয়মিত ঝাড়– দেওয়া হচ্ছে। বাথরুম পরিষ্কার। অনেক স্বস্তিতে আছি।’ভবনের নিচ তলায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ নাজমুল আলমের কার্যালয়। হাসপাতালের এই পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি এখানে গত ০১ জানুয়ারী যোগদান করেছি। আমি এখানে আসার পর যতটুকু জেনেছি স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ মহোদয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এটি এবং পাশাপাশি পুর্বের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলীনূর মোহাম্মদ বশীর স্যারও এমপি স্যারের সহযোগিতা নিয়ে হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ করেছে। তাদের এই সহায়তায় পাল্টে গেছে হাসপাতালের বাহ্যিক চেহারা ও সেবার মান। ২০১৯ সালে এই হাসপাতালটি কুমিল্লা জেলায় সেরা হয়েছিলো। বর্তমানে বহির্বিভাগে ১৪ জন চিকিৎসক দৈনিক প্রায় ৩শ থেকে ৪শ ও জরুরী বিভাগে ৬০ থেকে ৭০ জন রোগিকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।