জার্মানিতে গত দুই সপ্তাহেরও বেশী সময় লকডাউন চালু থাকলেও এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১,০৭৬৬৩ জন। সুস্হ ৩৬০৮১ জন আর মারা গেছে ২০১৬ জন। তবে জার্মানিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনের কারণে ক্রমেই করোনা ভাইরাসের প্রাদুভার্ব কমবে।
জার্মানিতে বিশেষজ্ঞরা দেশটির সরকারের নেওয়া লকডাউন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে, ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের বিস্তার কোথায় গিয়ে শেষ হবে, সে বিষয়ে তাঁরা অনিশ্চিত বলে জানিয়েছেন। তবে গবেষকদের ধারণা জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের মহামারী ইতালি বা স্পেনের মতো হবে না। তাঁদের গবেষণায় উঠে এসেছে, এই লকডাউন নিঃসন্দেহে জার্মানিতে সংক্রমণের হার কমাবে।
করোনাভাইরাসে লকডাউন ব্যবস্হা চালু রইলেও হাসপাতাল, ক্লিনিক, জীবণু সনাক্তকরণ গবেষনাগারগারগুলি চব্বিশ ঘন্টা খোলা রয়েছে। এই মুহর্তে জার্মানিতে স্বাস্হ্যখাতে প্রয়োজনীয় লোকবলের স্বল্পতার কারণে, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা করোনাভাইরাস সংক্রামন রোধে এগিয়ে এসেছে।
বার্লিনে বসবাসরত বাংলাদেশী ছাত্রী মাহামুদা খান বাঁধন করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত দেশ জার্মানিতে সেবায় নিয়োজিত হয়েছে । জার্মানির ২০ হাজারেরও বেশি ম্যাডিকেল শিক্ষার্থী করোনার বিরুদ্ধে হাসপাতালে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ।বাঁধন বার্লিন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থবর্ষের মেডিসিনের ছাত্রী । বাঁধন এই মুহূর্তে আক্রান্তদের পাশে থেকে সেবা দিতে পারে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন ।বাঁধন জানিয়েছে লেখাপড়া শেষ করে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে গিয়ে মানব সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে পারে এইজন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।