পরিবেশ-প্রতিবেশকে নষ্ট করে উন্নয়ন করা হলে এ উন্নয়ন মানুষের কোনো কল্যাণে আসে না। টিলা ও গাছ কেটে স্থাপনা নির্মাণ, সড়ক নির্মাণ সবাই করলেও কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এমন কাজ করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় পাহাড়-টিলা, জলাধার, বৃক্ষরক্ষা করে কিভাবে উন্নয়ন করা সম্ভব তাঁর নজির স্থাপন করবে। কিন্তু তা না করে টিলা ও গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে উন্নয়ন কাজ করছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবেশ বিধ্বংসী এমন কাজ বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী পরিবেশ রক্ষা করে উন্নয়ন করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকালে সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখা আয়োজিত প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি থেকে এমন বক্তব্য দেন পরিবেশবাদীরা।
সিলেটে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল নির্মাণে নামে টিলার কিছু অংশ ও যাতায়াত সুবিধার কথা বলে বেশ কয়েকটি গাছ কাটার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি বিকেল ৩টা থেকে চারটা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী চলে। এতে বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কর্মসূচি চলাকালে বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষার শিক্ষা ও দীক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যৎ জীবনে তাঁর প্রয়োগ করবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় যদি অন্য সবার মত অন্যায় আচরণ করে তবে তা মেনে নেয়া যায় না। পেন্ডামিককালে নির্জন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টিলা কাটা ও গাছ কাটার পেছনে থাকা দূর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা উচিত। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল উন্নয়ন কাজ মাষ্টারপ্ল্যান অনুযায়ী সম্পন্ন করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম। ভাষাসৈনিক মতিন উদ্-দীন যাদুঘরের পরিচালক ডা. মোস্তফা শাহজাহান চৌধুরী বাহারের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশরাফুল কবির, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এসোসিয়েসন (ইমজা)’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঈনুদ্দিন মঞ্জু, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের যুগ্ম সম্পাদক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ছামির মাহমুদ, বিজ্ঞান মঞ্চের সমন্বয়ক প্রণব জ্যোতি পাল, সাংস্কৃতিক সংগঠক বিমান তালুকদার, গণতান্ত্রিক ব্যবসায়ী ফোরাম সিলেটের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল জব্বার শাহী, সুরমা রিভার ওয়াটারকিপারের মুজাহিদ হোসেন মুনিম, পরিবেশকর্মী রুবেল মিয়া প্রমুখ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।