অব্যাহত বৃষ্টিপাতে নার্সারি ব্যাবসায় ধব্স
৩১ আগ ২০২০, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ণ

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা :
পাইকগাছায় টানা কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতে নার্সারি মালিকরা পড়েছেন বেকায়দায়। নার্সারি বাগান গুলোতে বৃষ্টির পানি জমে মারা যাচ্ছে গাছের চারা। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছোট-বড় নার্সারি মালিকরা। পাইকগাছা উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ৫ শতাধিত নার্সারী গড়ে উঠেছে। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যা রয়েছে গদাইপুর গ্রামে। মৌসুম শুরুতে চারা তৈরীর জন্য নার্সারী মালিক ও কর্মচারীরা ব্যস্ত হয়ে ওঠে। বর্ষা শুরু হলে গুটি কলম তৈরী করা হয়। গুটি কলম তৈরী করতে গাছের ডালের দুই ইঞ্চি মত ছাল পুরাটা গোল করে কেঁটে ফেলে জৈব সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে কাঁটা অংশ ভাল করে বেঁধে রাখে। ১ মাসের মধ্যেই মাটির ভিতর থেকে শিকড় বেড় হয়। পেয়ারা, লেবু, জলপাই সহ বিভিন্ন গাছে গুটি কলম তৈরী করা হয়। জোড় কলম তৈরী করতে গাছের ডালের সঙ্গে গাছের ডাল জোড়া লাগিয়ে জোড় কলম তৈরী করা হয়। তেজপাতার সঙ্গে কাবাবচিনি, আমের সঙ্গে আম, ছবেদার সঙ্গে খিরখেজুর, আতা সঙ্গে দেশী আতা জোড় দিয়ে জোড় কলম তৈরী করা হয়। কাঁটা জাতীয় কুল সহ বিভিন্ন ফলের চারা চোখ বসিয়ে বাডিং কলম তৈরী করা হয় এবং ফুল জাতীয় গাছের ডাল কেঁটে সরাসরি মাটিতে পুতে কমল তৈরী করা হয়। গদাইপুর এলাকার তৈরী কলম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়। বর্ষা মৌসুমে চারা উৎপাদন ও রোপনের সঠিক সময়।কিন্তু চলতি মৌসুমে অ-স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারনে নার্সারি গুলোতে চারা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অনেকেই এনজিও থেকে
ঋন নিয়ে নার্সারি ব্যাবসা করেছেন। অ-স্বাভাবিক বৃষ্টির কারনে চারা পচে মারা যাচ্ছে যার ফলে ঋনগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই। নার্সারি মালিক শ্যামনগর গ্রামের জিয়াউর রহমান বলেন, আমার এক বিঘা জমিতে কুল,পেয়ারা, লেবুসহ বিভিন্ন কলম তৈরী করেছি।কিন্ত বৃষ্টির জন্য ক্ষেতে পানি জমে আমার অনেক চারা নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান,পাইকগাছার নার্সারী শিল্প খুলনা জেলা শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। এ বছর অধিক বৃষ্টির কারনে নার্সারী ব্যবসায়ীরা
চারা উৎপাদন ও বিক্রি করার আশানারূপ বাজার ধরতে না পারায় তারা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
সে জন্য কৃষি অফিস থেকে নার্সারি মালিকদের সাথে সর্বদা যোগাযোগ রেখে চারা উৎপাদনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।