পটিয়ায় ময়লাযুক্ত মিনারেল ওয়াটার বাণিজ্য

Daily Ajker Sylhet

১৯ অক্টো ২০২০, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ


পটিয়ায় ময়লাযুক্ত মিনারেল ওয়াটার বাণিজ্য

মোরশেদ আলম,পটিয়া (চট্টগ্রাম) :
চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে একাধিক মিনারেল ওয়াটার কারখানা। এই সব কারখানিার পানি ময়লাযুক্ত ও নোংরা পরিবেশে তৈরীর করার পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তর, বিএসটিআইসহ সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের অসাধু কিছু ব্যক্তিদের বসে এসে নির্ভয়ে অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে বাণিজ্য। এসব কারখানার পানি পান করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি সরকার রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
জানা গেছে, পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে মিনারেল ওয়াটার কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে, এই সব মিনারেল ওয়াটার কারখানা থেকে পানি বোতল জাত, পানির জার ভরে বিভিন্ন এলাকায় দোকান, বাসা বাড়ি, ব্যাংক, বীমা, সরকারি, বেসরকারি অফিস আদালতে পানি সরবরাহ করে আসছে। এই সব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন নামী দামী পানি কোম্পানির ল্যাবেল লাগিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিসিক শিল্পনগরীর বিপরীত পাশে ‘মম’ নামের একটি অবৈধ মিনারেল ওয়াটার কারখানা রয়েছে। এই কারখানার মালিক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তি বলে জানা গেছে। এই কারখানা থেকে প্রতিদিন পটিয়া সদরের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার লিটার পানি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা বাণিজ্য করে আসছে। বিসিক শিল্পনগরীর একটু পর গিরি চৌধুরী বাজার এলাকায় ‘অলওয়েজ’ নামের আরেকটি মিনারেল ওয়াটারের অবৈধ কারখানা সন্ধান পাওয়া গেছে। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক আবু নোমান নামের এক ব্যক্তি বলে স্থানীয়রা জানান। এ দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য করলেও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে মম ওয়াটার কারখানার মালিক ইব্রাহীম জানান, আমার এই ওয়াটার কারখানার বিষয়টি প্রশাসনের সবাই জানে, অনেক সাংবাদিকেরা আমার কাছে আসে, অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ প্রকৌশলী উত্তম কুমার বড়–য়া বলেন, পটিয়ায় এই ধরণের গভীর নলকূপ বসিয়ে পানির বাণিজ্য করার মত অনুমোদিত কোন প্রতিষ্ঠান নেই, তারা পানি বিক্রি করে এলাকার পরিবেশ ও জন স্বাস্থ্যর ক্ষতি করছেন বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইনামুল হাছান বলেন, অবৈধ পানির কারখানার বিষয়ে কেউ আমাদের জানাইনি, অবৈধ কারখানার সন্ধান পাওয়ার সাথে সাথে আমার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।