করোনার থাবায় হারিয়ে গেলেন চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ৩:২৭, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

করোনার থাবায় হারিয়ে গেলেন চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি

ADMIN, USA
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৮, ২০২০
করোনার থাবায় হারিয়ে গেলেন চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি

করোনার কাছে হেরে গেলেন কমিউনিটির আরেক পরিচিত মুখ আবদুল হাই জিয়া। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন। তিনি ছিলেন, নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশি কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ এবং চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ-ইনকের প্রেসিডেন্ট। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

ডিসেম্বর ৭ সোমবার নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছুক্ষণ পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এমনটি নিশ্চিত করেছেন ইশরাক। প্রয়াত আবদুল হাই জিয়া কুইন্সের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এস্টোরিয়ার মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যেখানেই তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুকে ব্যাথা (হার্ট-অ্যাটাক) নিয়ে একদিন আগে (রোববার) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আবদুল হাই জিয়া। এর পর তিনি (কোভিড-১৯ পজিটিভ) করোনায় আক্রান্ত হন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে চলে গেলেন মৃত্যুযবনিকার ওপারে।

কমিউনিটি সংশ্লিষ্টদের মতে, সফল রিয়েল এষ্টেট ব্যবসায়ি আবদুল হাই জিয় গেল ১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে ব্রুকলিনে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত এক ব্যক্তির জানাজায় অংশ নিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম সমিতির ভবনের সামনে প্রয়াত ওই ব্যক্তি ছিলেন একজন শিক্ষক। যার নাম আবুল কালাম আজাদ। জানাজায় চট্টগ্রাম সমিতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন জিয়া। এর দুদিন পরেই তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। রোববার রাতে শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের মতে, উক্ত জানাজায় অংশগ্রহণকারি আরো কয়েকজন ইতোমধ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। জানা গেছে, প্রয়াত শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের পরিবারেরও বেশ কয়েকজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীসহ অসংংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

মরহুমের জানাজার নামাজ আগামীকাল ৯ই ডিসেম্বর বুধবার দুপুর ১টায় (বাদ জোহর) চট্টগ্রাম ভবনের সামনে (545 Mcdonald Ave, Brooklyn, NY 11218) সোশ্যাল ডিসটেন্স মেইনটেইন করে অনুষ্টিত হবে, ইনশা আল্লাহ। (জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক )

দেশে লাশ পাঠানোর চিন্তা ভাবনা থাকলেও পরে পরিবারের সিদ্ধান্তক্রমে নিউজার্সি মার্লবোরো মুসলিম কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।