অবশেষে করোনার টিকার মেধাস্বত্ব ছাড়তে রাজি যুক্তরাষ্ট্র - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, ভোর ৫:২৯, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

অবশেষে করোনার টিকার মেধাস্বত্ব ছাড়তে রাজি যুক্তরাষ্ট্র

editor
প্রকাশিত মে ৬, ২০২১
অবশেষে করোনার টিকার মেধাস্বত্ব ছাড়তে রাজি যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্কঃ

ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবির মুখে অবশেষে করোনার টিকার মেধাস্বত্ব মওকুফে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র বুধবার জানিয়েছে, ডব্লিউটিও যদি এটি উন্মুক্ত করতে চায়, তা হলে এতে তাদের কোনো সমস্যা নেই।

এর আগে করোনা ভাইরাসের টিকার পেটেন্ট সবার জন্য উন্মুক্ত করার প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার (৬ মে) এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রেসিডেন্টকে চাপ দিয়েছিলেন ডেমোক্রেটিক দলের আইনপ্রণেতারা। তবে ধারণা করা হচ্ছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথেরিন টাই এক বিবৃতিতে বলেছেন, করোনা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট। পরিস্থিতি এখন অস্বাভাবিক, তাই ভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

মেধাসম্পদ উন্মুক্ত হলে বিশ্বজুড়ে টিকার উৎপাদন বাড়বে এবং দরিদ্র দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তির পথ আরও সুগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস। তিনি এটিকে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে একটি ‘স্মরণীয় মুহূর্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন।

 

 

কিন্তু ওষুধ প্রস্ততকারক কোম্পানিগুলোর যুক্তি— এতে প্রত্যাশানুযায়ী ফল নাও মিলতে পারে।

বিল গেটস কয়েক দিন আগে বলেছেন, পেটেন্ট উন্মুক্ত করলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বেনামি অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থ হাতিয়ে নিতে সংকটকে পুঁজি করে যাচ্ছেতাইভাবে টিকা তৈরিতে নামতে পারে। তাতে হিতে বিপরীত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন তেই বলেছেন, কঠিন এই সময় বড় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

ডব্লিউটিওকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগতে পারে।

 

 

ভ্যাকসিনের পেটেন্ট উন্মুক্ত করতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি আরও ৫৮ দেশের একটি গ্রুপ কয়েক মাস ধরে সোচ্চার।

কিন্তু তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্য এবং ইইউর বিরোধিতা করছিলেন।

তবে জো বাইডেন এসে বিষয়টি সমর্থন করলেন। নির্বাচনী প্রচারের সময়ই তিনি এ বিষয়ে নিজের সমর্থনের কথা জানান।  গত বুধবারও সেটি স্মরণ করিয়ে দেন।

নির্বাচনের আগে থেকেই করোনা টিকার মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার কথা বলে আসছিলেন জো বাইডেন। ক্ষমতালাভের পরে সেই অবস্থান বদলাননি তিনি। আগে মেধাসম্পদ উন্মুক্তের প্রস্তাবে তীব্র বিরোধিতা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

মেধাস্বত্ব মওকুফ হলে তুলনামূলক গরিব দেশগুলোতেও ভ্যাকসিন উৎপাদন সম্ভব হবে। অনেক উন্নয়নশীল দেশ বলছে, মেধাস্বত্ব থাকার কারণে তারা ভ্যাকসিনের ফর্মুলা পাচ্ছে না।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।