লকডাউন শেষে ১১ অগাস্ট থেকে সব কিছু চালু হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে আগেই জানিয়েছে সরকার। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আসলে কবে খুলবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
রোববার রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিক প্রশ্নের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি। এ বিষয়ে সরাসরি কোনো দিনক্ষণ উল্লেখ না করে দুটি বিষয়ের ওপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নির্ভর করছে বলে জানান তিনি।
আলোচিত দুই বিষয় হলো-করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসা ও শিক্ষার্থীদের টিকাদান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন মহামারীর যে পরিস্থিতি তাতে কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সেটি বলার সুযোগ নেই। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শনাক্তের হার শতকরা ৫ শতাংশের কম হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায়। আমরা এটি মাথায় রাখছি। এখন যেহেতু ব্যাপকহারে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে, সেক্ষেত্রে ৫ শতাংশ না হলেও সংক্রমণ যথেষ্ট পরিমাণ নিচে নামলে হয়ত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতে পারব।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার কাজও প্রায় শেষ। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশও টিকা পেয়েছেন। এখন দুইটা বিষয়- সংক্রমণের হার কমে যাওয়া আর সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। এ দুটো যখন হবে, তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে ভাবা যাবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, সংক্রমণের হার একেবারেই কমে চলে আসলে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একসঙ্গে খুলে দেওয়া হবে। যদি ধীরে ধীরে কমে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যেহেতু আগে টিকা পাবে, তাই বিশ্ববিদ্যালয় আগে খুলে দেয়া হবে। খোলার পর বিশেষ করে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের একেবারে পাঁচ-ছয়দিন নিয়ে আসব তা না, ধাপে ধাপে নিয়ে আসা হবে। কারণ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের এখানে বেশি। সংক্রমণ কমলেও আমাদের বহুদিন মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সেসব বিবেচনা করেই আমরা পরিকল্পনা করছি।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতিতে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। এখন সেটি নির্ভর করছে অবস্থা কখন কী রকম দাঁড়ায় তার ওপর। গত বছরের অভিজ্ঞতা বলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ অনেক কমে গিয়েছিল। এ বছরও সেটি হলে সে সময়ে আমরা ভেবেছি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারব। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া সম্ভব হবে।