প্রথম কোনো আফগান নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হয়েছিলেন রয়া রাহমানি। তিনি বলছেন, তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণে তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত হলেও বিস্মিত নন।
কাবুলের পতনের জন্য আশরাফ গনির সরকারকে দায়ী করে সাক্ষাৎকারে রয়া রাহমানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কাবুলের সরকার দেশকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের বিশাল দুর্নীতির কারণেই চূড়ান্তভাবে তালেবান দ্রুত বিজয়ের মাধ্যমে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পেরেছে। তালেবানের এই বিজয়ের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব অনেক বেশি হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
রয়া বলছেন, ‘তালেবান যে পন্থায় এবং যত দ্রুত আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তাতে একজন আফগান নাগরিক হিসেবে আমি মোটেও বিস্মিত হইনি। বরং তখন ক্ষমতায় থাকা আফগান সরকারের নেতৃত্বের অভাব দেখে আমি আশ্চর্য হয়েছি।’
তার ভাষায়, ‘আফগানিস্তানের মানুষকে রক্ষায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনী তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক ছিল না, বিষয়টা আসলে এরকম নয়। আফগান সরকার এবং এর পুরো নেতৃত্বটাই ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত। মূলত, তারাই দেশটিকে তালেবানের হাতে তুলে দিয়েছে।’
সাবেক এই আফগান রাষ্ট্রদূত আরও বলছেন, তালেবান যোদ্ধাদের রাজধানী কাবুলে প্রবেশের খবরে আগস্টের ১৫ তারিখে প্রেসিডেন্টের পদ ত্যাগ করে আশরাফ গনির আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ছিল চূড়ান্তভাবে হতাশাজনক এবং বিব্রতকর।
৪৩ বছর বয়সী রয়া রাহমানি ৩ বছর যুক্তরাষ্ট্রে আফগান রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। চলতি বছরের জুলাই মাসে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। রাহমানির দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিত্রদেশ’ পাকিস্তানের খুবই ঘনিষ্ঠ তালেবান। এখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে যেকোনো ধরনের দর-কষাকষিতে তালেবান ইস্যুকে ব্যবহার করবে ইসলামাবাদ।
তার দাবি, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবার এক নতুন পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে।