২৪ অক্টোবর পায়রা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী. - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ১১:৫৫, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

২৪ অক্টোবর পায়রা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী.

ADMIN, USA
প্রকাশিত অক্টোবর ১৯, ২০২১
২৪ অক্টোবর পায়রা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী.
মোঃ হাসিবুর রহমান , পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী-বরিশাল মহা সড়কে লেবুখালী-পায়রা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। চলতি মাসের ২৪ অক্টোবর (রবিবার) সেতু জনসাধারণের পারাপারের জন্য উমুক্ত ও শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যম কে এতথ্য নিশ্চিত করেন সেতুর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল হালিম।
বরিশাল-পটুয়াখালী মহা সড়কের পায়রা নদীর উপর ২০১৬ সালে লেবুখালী-পায়রা সেতুর নির্মান কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ইতিমধ্যে মূল সেতুর শত ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই সেতুতে বেশ কিছু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে নদীর মধ্যে এবং পাশে থাকা পিয়ারে যাতে কোন নৌ যান ধাক্কা দিতে না পারে সে জন্য পিয়ারের পাশে নিরাপত্ত পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া বজ্রপাত কিংবা ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগে সেতুর কোন ক্ষতি হলো কিনা সেটি মনিটরিং করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড এন্ড ব্রীজ কনেস্টাকশন’ এর নির্মান কাজ সম্পন্ন করেছে। ১৪৭০ মিটার দৈঘ্য এবং ১৯.৭৬ মিটার প্রস্তের এই ব্রীজটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে নদীর মাঝ খানে একটি মাত্র পিলার ব্যবহার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কর্নফুলীর ব্রিজের আদলে নির্মিত  দেশের ২য় তম ব্রীজ যা এক্সক্টা ডোজ ক্যাবেল সিস্টেম এ তৈরী করা। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে ব্রিজের নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫শ কোটি টাকা।
এদিকে পায়রা সেতু এখন নতুন একটি পর্যটন ও বিনোদন স্পটে পরিনত হয়েছে। সেতুটি বর্তমানে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। প্রতিদিন বিকেল ও সন্ধ্যার পরে স্থানীয়রা এবং আশপাশের জেলা থেকে সেতুর দুপাড়ে এ্যাপ্রোচ সড়কে ভীড় জমে দর্শনার্থীদের। বিশেষ করে ছুটির দিনে জনসমাগম হয় এখানে।
পরিবার ও বন্ধু বান্ধবসহ ঘুরতে আসছেন অনেকে। এক্সট্রাডোজ ক্যাবলে নির্মিত দৃষ্টি নন্দন স্বপ্নের সেতুটি সাথে ছবি ও সেলফি তুলছেন দর্শনার্থীরা। সেতু কেন্দ্রিক আগত নারী ও শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার জন্য দাবী জানিয়েছেন আগতরা।
তবে, সেতুটি উম্মুক্ত হলে ব্যস্ততম সড়কে জনসাধারণের পারাপারের বিরাট ধরনের ঝুঁকি তৈরি হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। দূর্ঘটনা এড়াতে সেতুর দক্ষিণ পাড়ে টোল প্লাজার আগে স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের রাস্তা পারাপারের জন্য একটি ওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবীও জানিয়েছেন অনেকে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।