এসপিসহ ৫৪ পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা খারিজ - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ১০:৫৭, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

এসপিসহ ৫৪ পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা খারিজ

newsup
প্রকাশিত জানুয়ারি ৪, ২০২২
এসপিসহ ৫৪ পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা খারিজ

নিউজ ডেস্কঃ হবিগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সুপারসহ (এসপি) ৫৪ পুলিশের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হারুনুর রশীদ এ আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে মামলাটি করেন জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম।

এ মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– হবিগঞ্জের এসপি এস এম মুরাদ আলি, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী, ওসি (ডিবি) আল-আমিন, ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ, এসআই (নিরস্ত্র) নাজমুল হাসান, এএসআই আবু জাবের, এএসআই বাপ্পী রুদ্র পাল ও এএসআই আলমগীর হোসেনসহ ৫৪ জন পুলিশ সদস্য।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি গত ২২ ডিসেম্বর সমাবেশ আহ্বান করে। এ জন্য হবিগঞ্জ পৌরসভার মাঠে ও চিলড্রেন পার্ক ব্যবহার করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। এরই মধ্যে জনসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি সর্বমহলে প্রচারিত হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে শায়েস্তানগরে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা বিএনপি। বিষয়টি লিখিতভাবে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়। কিন্তু পুলিশ পার্টি অফিসের সামনে একটি ছোট মঞ্চ তৈরির কাজে বাধা দেয় এবং গলির পূর্ব ও পশ্চিম মুখে ব্যারিকেড দিতে শুরু করে।

সে সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দুপুর ১২টার দিকে সভাস্থলে উপস্থিত হন। এরই মধ্যে সভাস্থলে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হতে শুরু করে। কিন্তু পুলিশ হবিগঞ্জ শহরের সবগুলো প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসিয়ে সভাস্থলে আসা নেতাকর্মীদের আটক ও হয়রানি করতে থাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৫৪টি শর্টগানের গুলি, ৪৪৮টি শর্টগানের সিসা এবং ৯০টি গ্যাস গানের শর্টসেল নিক্ষেপ করে তিনশ’ নেতাকর্মীকে আহত করে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।