রোজা না রাখার শাস্তি – BANGLANEWSUS.COM
  • ২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

 

রোজা না রাখার শাস্তি

newsup
প্রকাশিত মার্চ ১৬, ২০২৩
রোজা না রাখার শাস্তি

ডেস্ক নিউজ: বিনা ওজরে কোনো ব্যক্তি রমজানের রোজা না রাখার দুটি কারণ হতে পারে; হয় সে তা (রমজানের রোজাকে) ফরজ বলে অস্বীকার করছে এবং ফরজ ইবাদত বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে না (নাউজু বিল্লাহি মিন জালিক)। আর না হয় সে আলসেমি করে রোজা রাখছে না। রমজানের রোজা ফরজ ইবাদত। রোজাকে ইসলামি শরিয়তে ফরজ নয় বলে অস্বীকার করা কুফরি। অস্বীকারকারী কাফের ও মুরতাদ হয়ে যাবে। কারণ সে ইসলামে প্রধান একটি রোকনকে অস্বীকার করছে। আর মুরতাদ হওয়ার ফলে একজন মুরতাদের মাল ও পরিবারের ব্যাপারে যা বিধান আছে তা কার্যকর হবে। সরকারের কাছে সে হত্যাযোগ্য অপরাধী বলে গণ্য হবে। তার গোসল-কাফন ও জানাজা হবে না এবং মুসলিমদের গোরস্থানে তার লাশ দাফন করাও যাবে না।

অবশ্য যদি কেউ নওমুসলিম হওয়ার ফলে অথবা ইসলামি পরিবেশ ও ওলামা-মাশায়েখদের থেকে দূরে থাকার ফলে এ ধরনের কথা বলে থাকে, তাহলে তার কথা ভিন্ন।

তাহলে তাকে ভয়ানক কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। কারণ সময় হওয়ার আগে আগে ইফতার করার কঠোর শাস্তির বিবরণ হাদিসে পাকে এসেছে। আর যদি পুরো দিন বা মাস রমজানের রোজা না রাখে তবে তার শাস্তি কতো কঠিন হতে পারে তা অনুমেয়। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আবু উমামাহ বাহেলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি শুনেছি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, ‘একদিন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম; এমন সময় (স্বপ্নে) আমার কাছে দুই ব্যক্তি উপস্থিত হলেন। তাঁরা আমার উভয় বাহুর ঊর্ধ্বাংশে ধরে আমাকে এক দুর্গম পাহাড়ের কাছে উপস্থিত করলেন এবং বললেন, ‘আপনি এই পাহাড়ে চড়ুন বা আরোহন করুন।’ আমি বললাম, ‘এ পাহাড়ে চড়তে আমি অক্ষম।’ তাঁরা বললেন, ‘আমরা আপনার জন্য চড়া সহজ করে দেব।’ সুতরাং আমি চড়ে গেলাম। অবশেষে যখন পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে পৌঁছলাম তখন বেশ কিছু চিৎকার-ধ্বনি শুনতে পেলাম। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ‘এ চিৎকার-ধ্বনি কাদের?’ তাঁরা বললেন, ‘এ হলো জাহান্নামবাসীদের চীৎকার-ধ্বনি।’
পুনরায় তাঁরা আমাকে নিয়ে চলতে লাগলেন। হঠাৎ দেখলাম একদল লোক তাদের পায়ের গোড়ালির উপর মোটা শিরায় (বাঁধা অবস্থায়) লটকানো আছে, তাদের কশগুলো (শিরাগুলো) কেটে ও ছিঁড়ে আছে এবং কশ বেয়ে রক্তও ঝরছে। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি বললাম, ‘ওরা কারা?’ তাঁরা বললেন, ‘ওরা হলো তারা; যারা সময় হওয়ার আগে আগেই ইফতার করে নিত…।’ (ইবনে খুযাইমা, ইবনে হিববান, বায়হাকি ৪/২১৬, মুস্তাদরাকে হাকেম ১/৪৩০, তারগিব ৯৯১)

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।