শিশু-কিশোরদের অধিকারের লড়াই
০৪ জুলা ২০২৩, ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট: জামিল নওশান। পথচলার শুরুর গল্পটা ২০১৪ সালের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্সের সঙ্গে যুক্ত হন। তাঁর সামাজিক কাজের হাতেখড়ি এখান থেকেই। শুধু স্বপ্ন দেখলেই হবে না; এটি বাস্তবে পরিণত করাই একজন সফল সংগঠকের কাজ। সেই লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সেমিনার ও সম্মেলনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকারের কথা তুলে ধরছেন।
২০১৮ সালে ৬৪ জেলার শিশুদের নিয়ে চাইল্ড পার্লামেন্ট আয়োজন করেন। যেখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাই সরকারের মন্ত্রীদের কাছে নিজেদের অধিকারের দাবি তুলে ধরে। তা ছাড়া অসহায় শিশুদের মধ্যে শীতবস্ত্র, ঈদে শিশুদের জন্য নতুন জামা ও বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।
২০২০ সালে ইয়েস বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর শিশু অধিকারের পাশাপাশি যুব অধিকার ও নারী অধিকার নিয়েও কাজ শুরু করেন জামিল। ২০২১ সালে করোনার সময় অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা ও শিক্ষা নিয়ে চাইল্ড পার্লামেন্ট আয়োজন করেন। যেখানে শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত থেকে শিশুদের কথা শোনেন। করোনা-পরবর্তী বিভিন্ন জেলায় গিয়ে শিশু ও যুবকদের সঙ্গে নিয়ে শিশু ও যুব সংলাপ আয়োজন করেন; যেখানে শিশুরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তাদের সমস্যা ও দাবি তুলে ধরে। এ ছাড়া শিশু অধিকার নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে ইয়েস বাংলাদেশের মাধ্যমে ঢাকা, বান্দরবান ও যশোরে ৪০টি জেলা থেকে আসা শিশুদের নিয়ে শিশু অধিকার নীতিমালার ওপর প্রশিক্ষণ আয়োজন করেন। ২০২২ সালে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহায়তায় আয়োজন করেন ‘গার্লস সামিট’। যেখানে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৭৫ জন নারী অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া তিনি ইয়েস বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পেইন ডিজাইনে অবদান রাখেন, যা সমাজের নেতিবাচক সংস্কৃতিগুলো দূরীকরণে অবদান রাখে।