এভাবে চলতে থাকলে ক্রীতদাসের মতো থাকতে হবে: জি এম কাদের – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ১২:৩৭, ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

এভাবে চলতে থাকলে ক্রীতদাসের মতো থাকতে হবে: জি এম কাদের

banglanewsus.com
প্রকাশিত আগস্ট ১৭, ২০২৩
এভাবে চলতে থাকলে ক্রীতদাসের মতো থাকতে হবে: জি এম কাদের

Manual7 Ad Code

নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘দেশের মালিকানা হারিয়ে মানুষ এখন একশ্রেণির দাসে পরিণত হয়েছে। আর দাসদের ম্যানেজ করতে সুবিধাভোগী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করা হয়েছে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর কার্যালয়ে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির এক বিশেষ সভায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, সারা দেশে গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশে লোক বাড়ানো হয়েছে। মানুষকে নজরদারির আওতায় এনে এক ধরনের শাসনের মধ্যে রেখেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখবে সরকার। কে কী করছে, কোথায় খাচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেওয়া হচ্ছে। দেশটাকে জেলখানা এবং দেশের মানুষকে ক্রীতদাস বানাচ্ছে।

Manual3 Ad Code

ক্ষোভ প্রকাশ করে জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে দেশটা একটি কারাগারে পরিণত হবে, আর আমাদের ক্রীতদাসের মতো থাকতে হবে। লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে পাওয়া দেশ একটি গোষ্ঠীর কাছে বন্ধক দিয়ে আমরা ক্রীতদাস হতে পারি না। আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই।’

Manual4 Ad Code

আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়ার কথা উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলাম। আওয়ামী লীগ জনগণের দল ছিল, তাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস আছে। মানুষের অধিকার আদায়ে আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগ আছে। যে আওয়ামী লীগ মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, আমরা সেই আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম।’

Manual4 Ad Code

জি এম কাদের বলেন, ‘কথা ছিল আমরা দুর্নীতি নির্মূল করব, বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করব। ভোটের অধিকার এখন কতটা আছে, তা সবাই জানে। আর ভাতের অধিকার নিয়ে দেশের মানুষ কষ্টে আছে। প্রতিদিন মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, আয় বাড়ছে না। প্রতিদিনই রিজার্ভ কমছে। বকেয়া পরিশোধ করলে রিজার্ভ দাঁড়াবে ১৯ বিলিয়ন ডলারে।’

বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে—এমন দাবি করে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘সাধারণ মানুষ, প্রার্থী এবং রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা বলছে, আমরা ভোট দিতে পারছি না। কখনো কখনো ভোট দিতে পারলেও সরকার ভোটের ফলাফল পাল্টে দিচ্ছে। অথচ দেশের প্রত্যেক মানুষের মালিকানার চাবিকাঠি হচ্ছে ভোটাধিকার। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে সরকার স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করেছে। তাই ন্যায়বিচারভিত্তিক এবং সমতার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন সমাজ গঠন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এটা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাযুদ্ধের নামেই।’

দেশে ‘একদলীয়’ শাসনব্যবস্থার সূচনা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, একজন নেতা ও একটি দল দেশ পরিচালনা করবে, এ জন্য প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু হয়েছে। শাসকগোষ্ঠী দেশটাকে তাদের পারিবারিক সম্পত্তি মনে করে। এ জন্য আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থের জন্য যাদের প্রয়োজন, তাদের একত্রিত করে একটি শ্রেণি তৈরি করেছে। তারা সাধারণ মানুষের চেয়ে অধিকতর সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সমর্থক সরকারের কর্মচারী, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বাছাই করে নেওয়া হয়েছে। তারা সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর মতো আচরণ করছে। যে বৈষম্য ব্রিটিশ জমিদার এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী করেছিল।

জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের বিষয়ে দলের সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা কারও ওপর ব্যক্তিগত মতামত চাপিয়ে দেব না।’

সভায় জাপার মহাসচিব মো. মুজিবুল হকও বক্তব্য দেন। এতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

Manual2 Ad Code

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code