পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ উধাও, কয়েক ঘণ্টায় দাম বেড়ে কেজি ২৫০ টাকা - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ২:৪৮, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ উধাও, কয়েক ঘণ্টায় দাম বেড়ে কেজি ২৫০ টাকা

newsup
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ উধাও, কয়েক ঘণ্টায় দাম বেড়ে কেজি ২৫০ টাকা

নিউজ ডেস্ক: ভারতের আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবর চাউর হয় গতকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে। এর সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রামের বাজারে পেঁয়াজের দামে আগুন লাগে। খুচরা বাজারের পেঁয়াজ নিমেষেই কিনে নেন ক্রেতারা। পাইকারি বাজার থেকেও আস্তে আস্তে পেঁয়াজ উধাও হয়ে যায় আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে।

প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট নামিয়েও কাজ হয়নি। বাজারে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আছে, সেগুলোর দামও ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে। গতকাল সকালেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় তা বেড়ে আজ শনিবার সকালে ঠেকে ২৫০ টাকায়। এতে ক্রেতারা রীতিমতো হতবাক! সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, এটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রীতিমতো পকেট কাটা।

ক্রেতারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই ১০০ থেকে ১১০ টাকায় পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল ছিল। হঠাৎ গতকাল (৮ ডিসেম্বর) রাতে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দিতেই ২৫০ টাকায় ঠেকে পেঁয়াজের দাম। তার ওপর পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ উধাও হয়ে যায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তুর্কি বড় পেঁয়াজ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের মেসার্স মিতালী ট্রেডার্সের মালিক মো. মোস্তফা বলেন, ‘হঠাৎ ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। অবশ্য আমাদের প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করার মতো পেঁয়াজ নেই। আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৮ হাজার ২০০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি ২০০ টাকার বেশি দামে।’

মোস্তফা আরও বলেন, খাতুনগঞ্জ আদি পাইকারি বাজার হলেও এখন পাইকারি বাজার সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পাহাড়তলীও পাইকারি অন্যতম বাজার।

পাহাড়তলী বাজারের পাইকারি আড়তদার মেসার্স এমবি স্টোরের ম্যানেজার নুরুল করিম বলেন, ‘আমাদের কাছে পাইকারিতে বিক্রি করার মতো কোনো পেঁয়াজ নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে সব আড়তেই পাইকারি ১৯০-২০০ টাকা দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।’

নগরের চকবাজার ও কাজীর দেউড়ি চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেট ও হালিশহর এলাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।

হালিশহর আই-ব্লকের মুদিদোকানি সাফা মারওয়া ফ্যামিলি মার্টের মালিক সৈয়দ নুর বলেন, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কর্ণফুলী বাজারের সরকার স্টোরের মালিক মো. খোকন বলেন, ‘শুক্র ও শনিবার বিয়েশাদির অনুষ্ঠান বেশি থাকায় আমাদের দোকানের সব পেঁয়াজ বিক্রি হয়ে গেছে। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে শুনেছি।’

হালিশহর ফইল্লাতলী বাজারে নিয়মিত বাজার করা হালিশহর এইচ-ব্লকের বাসিন্দা মো. ফখরুল ইসলাম জিলানী বলেন, ‘এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ১৪০ বেড়ে ২৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া দুঃখজনক ও চরম অস্বাভাবিক। আমি বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সগির আহাম্মদ বলেন, ‘ভারত প্রতিবছর এভাবে হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে আমাদের দেশে প্রস্তুতি থাকা দরকার। এটা বাণিজ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতা।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। পাহাড়তলী ও খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে তাঁরা মনিটরিং করেছেন।’

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আজকে যে পেঁয়াজের দাম বাড়ল, সেগুলো তো আগের কেনা। তাহলে কেন দাম বাড়বে?’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।