কানাডার তদন্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপে ভারতের সম্পৃক্ততা, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
৩১ জানু ২০২৪, ০৯:৪৮ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে হস্তক্ষেপে চীন-রাশিয়ার সাথে ভারতও সম্পৃক্ত ছিল কানাডার এক তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটা উঠে এসেছে। কানাডার এই তদন্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করলেও যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দু’টি প্রশ্ন করেন।
তিনি মিলারের কাছে জানতে চান, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল কানাডার এক তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানায় চীন এবং রাশিয়ার সাথে একত্রিত হয়ে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপে ভারতের সম্পৃক্ততা প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের একতরফা নির্বাচনের মতো তাদের জয়ের জন্য ভারতের সমর্থন প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন। সমালোচকদের দাবি, ভারতীয় প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উন্নয়নে পিছু হটেছে। এ ব্যাপারে আপনি কী বলবেন?
জবাবে মিলার বলেন, কানাডার তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। এ ব্যাপারে কানাডা তথ্য দিতে পারবে। আমি বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলব, এর আগেও এই ইস্যুতে অসংখ্যবার বলেছি। কারণ এর সাথে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা জড়িত। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং আমরা গণতান্ত্রিক নীতিগুলোকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখেছি, যা সব বাংলাদেশীর জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার চাবিকাঠি।
ওই সাংবাদিক আরো জানতে চান, ‘জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন অনতিবিলম্বে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার বিরোধী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা, বিএনপি নেতাসহ ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করেছে। নির্বাচনের আগে আপনারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে আপনারা কী বলতে চান?
জবাবে মিলার বলেন, ‘আপনি এর আগেও বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমাদের মূল্যায়ন শুনেছেন। এই নির্বাচনকে আমরা অবাধ এবং সুষ্ঠু মনে করি না। নির্বাচনের সময়ে বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের বিষয়েও আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি।
এই ব্যাপারে আমি দু’টি কথা বলব। এক, গ্রেফতারকৃত সবার জন্য একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং নাগরিক জীবনে অর্থপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি এবং এই দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে সম্পৃক্ত থাকব।