সিলেট মেডিকেল কলেজ গণহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি
১০ এপ্রি ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক: সিলেটে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে মেডিকেল কলেজ (বর্তমান শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল) গণহত্যা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে নাগরিক মৈত্রীর উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি র্যালি বের হয়ে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে সিটি করপোরেশন, শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল, কিডনি ফাউন্ডেশন, ধরিত্রী রক্ষা আন্দোলন, পরিবেশ ও ঐতিহ্য রক্ষা ট্রাস্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা এবং নাগরিক মৈত্রীর উদ্যোগে ৯ এপ্রিলের গণহত্যা নিয়ে তৈরি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
আলোচনা সভায় এক বক্তা বলেন, ‘কর্তব্যরত অবস্থায় এভাবে হত্যাকাণ্ড নজিরবিহীন। ডা. শামসুদ্দিন আহমদ, লালাসহ সবার আত্মত্যাগে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার অর্ধশতক পার হলেও এই হত্যাকাণ্ডের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। যা আমাদের জন্য লজ্জার। অবিলম্বে তাই এই হত্যাকাণ্ডের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে।’
নাগরিক মৈত্রীর আহ্বায়ক সমর বিজয় সী শেখর এতে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল হক, বিএমএয়ের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, কবি ও লোক সংস্কৃতি গবেষক অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন, বিএমএ সিলেটের সভাপতি ডা. মো. রুকনউদ্দীন আহমদ, পরিবেশ ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের সভাপতি ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, শাবিপ্রবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুক উদ্দিন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আল আজাদ, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কিম, শহিদ পরিবারের সদস্য ফরিদা নাসরীন, রাজনৈতিক সংগঠক অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দীপন, আকবেট সিলেটের নির্বাহী পরিচালক আসাদুজ্জামান সায়েম, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন সিলেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নৃশংসভাবে হত্যা করে চিকিৎসক শামসুদ্দিন আহমদ, চিকিৎসক শ্যামল কান্তি লালাসহ ৯ থেকে ১১ জনকে। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভিক সময়ে সিলেটে প্রতিরোধযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতন-গুলিতে আহত সাধারণ মানুষ, যুদ্ধাহত প্রতিরোধযোদ্ধা, এমনকি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আহত সদস্যদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন তাঁরা।