জাতীয় ডেস্ক:
জুলাইয়ের শেষ নাগাদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। আর ৫ আগস্টে পতন ঘটে হাসিনা সরকারের। এই সময়ের মধ্যে সহস্রাধিক মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছেন। এই আন্দোলনে নিহতের পরিবারগুলোকে সহায়তা এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সরকার জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করেছে।
এই জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দপ্তর সম্পাদক নাহিদ ইসলাম এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, কমিটির সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে নাহিদ ইসলাম বলেন, আহত ও নিহতদের পরিবারকে জরুরি আর্থিক সহায়তা, পরবর্তীতে এককালীন নগদ টাকা এবং মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানের আর্কাইভিং করা, অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখা, তাঁদের আদর্শকে বাস্তবায়ন করা এবং শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখা।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সহায়তা করা হবে। আহত এবং নিহতদের পরিবার ট্রমার মধ্যে আছে, তাই তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য ও কাউন্সেলিং করা হবে। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বৈশ্বিকভাবে প্রচার করা হবে।
এ সপ্তাহ থেকে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রথম উদ্যোগ জরুরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকার ফান্ড জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এটি স্বাধীন ফাউন্ডেশন এখানে যে কেউ সহযোগিতা করতে পারবে। আমরা দেশ ও দেশের বাইরের সকলের কাছে এ ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে আমাদের সব উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি। শহীদ পরিবারদের পাশে দাঁড়াতে পারি।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বন্যা তহবিলে যে অনুদান আসছে সেটা দিয়ে বন্যার্তদের পুর্নবাসনে যে উদ্যোগ নিচ্ছি সেটার সঙ্গে এটা আলাদা। এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টা চাইলে যেকোনো খাতে অনুদান দিতে পারেন। ফাউন্ডেশনের তহবিল সরকার থেকে নিয়ে শুরু করলাম। এখন দেশের সব নাগরিকের কাছে অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকেও যেসব উদ্যোগ তা আলাদাভাবে চলতে থাকবে এবং ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমও চলতে থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক তালিকায় আহত ২০ হাজারের বেশি আহত এবং প্রায় ৮০০ জন নিহত রয়েছেন। এর মধ্যে ৭০০ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।