ডেস্ক রিপোর্ট:
পৃথিবীর বুকের অত্যন্ত সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর একটি জায়গা রিয়াজুল জান্নাত। যেনো দুনিয়ার বুকে গচ্ছিত এক টুকরো বেহেশত। যা দেখলে চোখ শীতল হয়ে যায়। যেখানে অবস্থান করলে সিক্ত হয় মুমিনের হৃদয়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হুজরা থেকে নিয়ে মসজিদে নববীর মিম্বর পর্যন্ত যে জায়গাটুকু রয়েছে তাকেই রিয়াজুল জান্নাত বলা হয়। এ জায়গাটুকুর দৈর্ঘ হচ্ছে ২২ মিটার আর প্রস্থে ১৫ মিটার।
এর মেঝেতে বিছানো হয়েছে সুন্দর কারুকার্য খচিত দামী কার্পেট। এক পাশে রয়েছে আসহাবে সুফফার স্থান। যেখানে ৭০ জন সাহাবী ইলম অর্জনের মানসে নিজেদের বিলীন করে দিতেন। তাদের মধ্যে আবু হুরায়রা (রা.) অন্যতম। যিনি ইলম অন্বেষণের অভিপ্রায়ে ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃগী রোগীর ন্যায় হয়ে যেতেন।
আরেক পাশে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট একটি আজানখানা, যেখানে প্রসিদ্ধ সাহাবি হযরত বিলাল (রা.) আজান দিতেন। যাকে উমাইয়া ইবনে খলফের নির্মম অত্যাচারের শেকল থেকে মুক্ত করেছিলেন সিদ্দীকে আকবর আবু বকর (রা.), আরেক পাশে রয়েছে রাসূলের মিম্বর- যেখানে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুৎবা দিতেন।
বর্তমানে তার পাশে আরেকটি মিম্বর তৈরি করা হয়েছে যেখানে বর্তমান শায়েখরা খুতবা দেন। অদূরেই রয়েছে সেই হুজরাখানা যেখান থেকে পর্দা সরিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্তিম মুহুর্তের ক্ষণকাল পূর্বে আব বকর (রা.) এর ফজরের নামাজের জামাত অবলোকন করছিলেন। আর তা দেখে সাহাবায়ে কেরাম বেজায় উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিলেন।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।