জাতীয় ডেস্ক:
‘তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন’ শিরোনামে খবরে প্রকাশিত ব্যাংক চেকটির সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদির নেতৃত্বে একক সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি চেকের সত্যতা যাচাই করে আগামী তিন দিনের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওই কমিটি সাচিবিক সহায়তা দেবেন সিনিয়র সহকারী সচিব কেএম ইয়াসির আরাফাত।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের (এপিডি) কক্ষ থেকে ৩ কোটি টাকার একটি চেক উদ্ধার করা হয়েছে। পদায়ন হওয়া এক জেলা প্রশাসকের পক্ষে ওই যুগ্ম সচিবকে চেকটি দেন এক ব্যবসায়ী। তবে কাঙ্ক্ষিত জেলায় পদায়ন না হওয়ায় চেকের বিপরীতে টাকা জমা দেননি ডিসি। অন্যদিকে, সবকিছু ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চেকদাতা ওই ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিয়ে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। প্রতিবেদনে সচিবালয় ও গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দেওয়া হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া চেকদাতা মীর্জা সবেদ আলী গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, জনৈক বড় ভাইয়ের সূত্র ধরে জনপ্রশাসনের যুগ্ম সচিব ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ আউয়ালকে ডিসি নিয়োগের জন্য ড. জিয়ার কাছে তদবির করা হলে ৩ কোটি টাকার চুক্তি হয়। সে জন্য ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সিগঞ্জের ডিসি নিয়োগের শর্ত দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী, আউয়ালের পক্ষে এই ৩ কোটি টাকার চেক দেওয়া হয়। এরপর নওগাঁর ডিসি হিসেবে নিয়োগ পান আউয়াল। এখন আউয়ালের কাছে চেক নগদায়নের জন্য টাকা চাওয়া হলে তিনি নানা টালবাহানা করেন। তাঁর দাবি, কাঙ্ক্ষিত জেলায় পোস্টিং হয়নি। এ ছাড়া নিজের চেষ্টায় নওগাঁ জেলায় পোস্টিং নিয়েছেন তিনি। সে জন্য এই চেকের বিপরীতে টাকা দেবেন না।
এ বিষয়ে নওগাঁর ডিসি মো. আব্দুল আউয়াল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মো. মীর্জা সবেদ আলী নামে কাউকে চিনি না। ড. জিয়া উদ্দিন স্যারের নাম শুনেছি। স্যারকে কখনো সামনাসামনি দেখিনি।’
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।