মাস্টারপ্ল্যান করে পুনরুদ্ধার করতে হবে
০৫ ফেব্রু ২০২৫, ০২:১৪ অপরাহ্ণ

সম্পাদকীয়:
রাজধানীর খালগুলো নিয়ে নানা নোংরা খেলা দেখে আসছি আমরা বছরের পর বছর। অধিকাংশ খাল দখল ও ভরাট করে স্বার্থান্বেষী মহল নানা ধরনের স্থাপনা গড়েছে, আবার সেই খাল পুনরুদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছে। অর্থাৎ খাল দখল ও ভরাট এবং পুনরুদ্ধার-এই চক্রের মধ্যে পড়েছে রাজধানীর খালগুলো। কাজের মধ্যে যা হয়েছে, সরকারের গচ্চা গেছে কোটি কোটি টাকা।
এমন এক পরিস্থিতিতে রাজধানীর ৬ খালের পুনরুদ্ধার কাজের উদ্বোধন হয়েছে রোববার। অবশ্য এ পুনরুদ্ধার কাজের শুরুটা বিতর্কিতও হয়েছে। লালগালিচায় হেঁটে খাল পুনরুদ্ধার কাজের উদ্বোধন করেছেন তিন উপদেষ্টা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। ঢাকার খালগুলোর মধ্যে বাউনিয়া, রূপনগর, বেগুনবাড়ী ও কড়াইল তিনবার দখলমুক্ত করা হয়েছিল। মান্ডা ও কালুনগর খাল ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত রাখা হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমানা নির্ধারণ না করার কারণেই মূলত খালগুলো স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত রাখা যাচ্ছে না, টেকসই উন্নয়নও সম্ভব হচ্ছে না। বিগত আমলে যখন সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছিল, তখন কোন্ রেকর্ড ধরে তা নির্ধারণ করা উচিত, সে ব্যাপারে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। একটা বড় সমস্যা এই যে, সিএস রেকর্ড ধরলে খাল উদ্ধারের কাজ জটিল হয়ে পড়ে। কারণ আরএস এবং বিএস রেকর্ড অনুসরণ করে বড় বড় স্থাপনা গড়ে উঠেছে।