‘যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত’, যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:১২ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট : ট্রাম্পের সময় বারবার ইরানের সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছে ইরানের। এর আগে আমেরিকা ইরানকে নতুন পরমাণু চুক্তিতে সম্মত হতে দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের এই নির্দেশকে ‘ঔদ্ধত্য’ বলে দাবি করেছিল ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেইনি। পাল্টা ট্রাম্প হুঙ্কার দিয়েছিল ইরানকে ধ্বংস করে দেবে। এরপরই খামেইনি ট্রাম্পকে সরাসরি হুমকি দেন, আমেরিকা যেন ইরানকে নিয়ে মাথা না ঘামায়। এর ফল ভাল হবে না। আমেরিকার সঙ্গে যখন ইরানের আদায় কাঁচকলা সম্পর্কের টানাপোড়ন চলছে তখন এমন আবহে মুখ খুললেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৩ মার্চ) এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের সর্বোচ্চ নেতার কাছে একটি সম্ভাব্য নতুন পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এতে ইরান রাজি হলে ভাল হবে। এই চুক্তিতে দুই দেশের মধ্যে শান্তি রক্ষা সম্ভব। সবকিছু সামরিক উপায়ে সমাধান করার প্রয়োজন হবে না। পাল্টা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানান, আমেরিকার অহঙ্কার না কমলে কোনভাবেই আলোচনায় বসা সম্ভব নয়। ইরানের সঙ্গে চুক্তিতে বসতে হলে চাপের নীতি পরিবর্তন আনা চাই। তা আদতেও কি ট্রাম্প প্রশাসন করবে? তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তাই আপাতত ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার বসার কথা ভাবছে না ইরান।
ট্রাম্পের চিঠিকে কি হিসেবে দেখছে ইরান এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আরাঘচি জানান, ‘ট্রাম্প যেটা চাইছে সেটাই যে সবসময় হবে এমন কোন মানে নেই। আমরা আমাদের নিজস্ব স্বার্থে কাজ করি। যা কল্যাণকর সেটাই করা হয়।’ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা যে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হচ্ছি না, এর কারণ একগুঁয়েমি নয় বরং অভিজ্ঞতা ও ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েছি। এখন যে পরিস্থিতি তাতে কিছু পরিবর্তন না এলে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসা যাবে না। আগে আমরা পরিবর্তন দেখতে চাই। এরপর আলোচনায় বসার কথা ভাবা হবে।’