নিজেদের স্বার্থে জুলাইকে ভিন্ন ভিন্ন খাতে নিয়ে যাবার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ
১১ এপ্রি ২০২৫, ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ

জেবি আহমেদ, ঢাকা
জুলাইয়ের আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন- পুলিশ চাইলে জুলাই আন্দোলনের পর আওয়ামীলীগের বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব কিন্তু আওয়ামীলীগের আমলে পুলিশ যেভাবে লীগের নির্দেশ কাজ করেছে ঠিক সেভাবে যদি বর্তমান সরকারের ১০ ভাগ নির্দেশ মানে তাহলে ইতিমধ্যে সকলকে শাস্তির আওতায় আনা যেত।
১১ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে ঢাকার মিরপুরের হয়রত শাহ আলী বাগদাদীর মাজার প্রাঙ্গনে গণমানুষের জাগ্রত জুলাই অনুষ্ঠানে প্রথমদিনে জুলাই আন্দোলনের আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
জুলাই আহত মানিক মিজি অভিযোগ করেন তাদের পাশে সরকার ও জুলাই ফাউন্ডেশনের কাউকে পাচ্ছেন না।
জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের প্রধান সমম্বনয়ক মোহাম্মদ রোমেল বলেন আমরা যেভাবে রাষ্ট্র বানাতে চাই সে রাষ্ট্র বানাতে পারি নাই আগামি দিনে এটাই আমাদের মূল কাজ সেই রাষ্ট্র তৈরি করা।
জুলাই আন্দোলনের শরীকানরা নিজেদের স্বার্থে ভিন্ন ভিন্ন খাতে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে আমরা জুলাইয়ের আশা নস্যাৎ করে দেব না। মাজারে আল্লাহ নবীর শানে গান হয় সেই নবী রাছুলের শান কারা বন্ধ করতে চায় বলে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
গান উন্মুক্ত করে দেবার দাবি করে তিনি বলেন মাজার একটি গণস্থান সেটা কোন অবস্থায়ই বন্ধ করা যাবে না। হাসিনা চলে গেছে কিন্তু হাসিনার ভূত এখনও যায়নি।
শহীদ নাহিদের স্ত্রী তাবাসসুম নিহা বলেন যারা উপদেষ্টা হয়েছেন তারা শহীদের ভুলে যাইয়েন না। আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগরা এখনো দেশে আছে কিন্তু বিচারের উদ্যোগ নেই।
গুলিতে বুকছিদ্র করা কলেজছাত্রী শহীদ মেহেরুননেছা তানহার পিতা মোশাররফ হোসেন পাঁচ লক্ষ টাকায় কি হয় বলে প্রশ্ন তুলে জানতে চান তাদের কোন খোঁজ খবর নিছেন? আমি মামলা করেছি কিন্তু আমার মামলার কিছুই তো জানলাম না। তিনি তার মামলার অগ্রগতি নেই কেন বলে আক্ষেপ করে আরো বলেন আপনারা আমাদের জন্য কিছু করেন তাহলে আমরা আপনাদের পিছনে অন্য কোন স্বৈরাচার তাড়াতে জান দিয়ে দিবো।
জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে এবং জুলাই-পরবর্তী ক্ষতি পূরণের তাগিদে গণমানুষের রুহানি পরিচর্যার লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপি চলবে গণমানুষের জাগ্রত জুলাই।
আয়োজকদের মতে এটি আবেগময় মিলনমেলা, যেখানে জাতির সাহসী সন্তানদের স্মরণ করা, তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানানো এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করা হচ্ছে ।
অনুষ্ঠানে শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন, যাঁরা দেশের কল্যাণে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়েছেন। এই আয়োজনে গরিব-অসহায়দের জন্যে মেডিকেল ক্যাম্প, জুলাইয়ের গ্রাফিতি, আন্দোলনের ছবি ও খবরের কাগজ প্রদর্শনী, কবিতাপাঠ, জুলাই আন্দোলনে আহত, সম্মুখ সারির যোদ্ধা ও শহীদদের স্বজনদের স্মৃতিচারণ, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, ভাবগানের আসর এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বইমেলা চলছে ।
দ্বিতীয় দিন শনিবারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার,তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো: মাহফুজ আলম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।