কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনে খরচ কমে অর্ধেক,সহজ কৃষকের জীবন
০৪ মে ২০২৫, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় ধান কাটায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে উন্নত প্রযুক্তির কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন। এই আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকের সময় ও খরচ দুইই সাশ্রয় হচ্ছে, পাশাপাশি মিলছে অধিক লাভ।
পরিসংখ্যান বলছে, শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে যেখানে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৩৫০০-৪০০০ টাকা, সেখানে ইয়ানমার মেশিনে তা কমে এসেছে মাত্র ২০০০ টাকায়।
কৃষিকাজ মানেই রোদ-বৃষ্টি-ঘাম। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলানো। বর্তমানে প্রযুক্তির উৎকর্ষের ইতিবাচক প্রভাব আমরা দেখতে পাই কৃষিকাজেও। আগে কৃষিকাজ মানেই ছিল শারীরিক শ্রম। প্রযুক্তি এখন জীবনকে করেছে সহজ। কৃষিকাজের ধাপে ধাপে বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে নানা ধরনের যন্ত্র। এসব যন্ত্রের সহযোগিতায় কৃষকের জীবন হয়েছে ঝামেলাহীন ও সহজ। তেমনই একটি যন্ত্র হলো ‘হারভেস্টার’।
হারভেস্টার একটি বাহন, যা দিয়ে সযত্নে ফসল তোলার কাজ করা যায়। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কৃষক যে ধান, গম বা ফসল চাষ করেন; সেটির সফলতাই হলো ফসল ঘরে তোলা। সেই সোনার ফসল ঘরে তোলার কাজটা আরো সহজ করে দিয়েছে হারভেস্টার। এটির সাহায্যে খুব সহজেই এখন মানুষ একরের পর একর ধান ঘরে তুলতে পারছেন।
যেকোনো যন্ত্র ব্যবহার মানেই থাকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে ইয়ানমার হারভেস্টারে রয়েছে ছয়টি বিশেষ সেন্সর। সার্ভিস চার্ট অনুযায়ী নিয়মিত সার্ভিস করালে পাঁচ বছর পর্যন্ত কোনো জটিলতা ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া ‘এসএআর সিস্টেম’ হারভেস্টারের বড় সুবিধা। যেহেতু ধান কাটার জন্য বিভিন্ন জায়গায় হারভেস্টার পাঠাতে হয়, তাই মালিক ঘরে বসেই মোবাইলে সহজেই জানতে পারবেন তাঁর হারভেস্টারের অবস্থান। অবগত থাকতে পারবেন কতটুকু জমির ধান কাটা হচ্ছে, কতক্ষণ সময় ধরে চলল, কত ঘণ্টা ধরে চলছে মেশিন কিংবা মেশিনের কোনো সমস্যা হলো কি না, ইত্যাদি। ফলে হারভেস্টারের মালিক ঘরে বসেই থাকতে পারেন দুর্ভাবনাহীন ও নিশ্চিন্ত।
চাষিরা বলছেন, এমন প্রযুক্তির প্রসার ঘটলে কৃষি হবে আরও উৎপাদনমুখী, লাভজনক এবং সময়সাশ্রয়ী। ডেস্ক জেবি